সিলেটে ছেলে-মেয়েদের স্কুল-কলেজে পাঠানো নিয়ে যা ভাবছেন অভিভাবকেরা
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ৮:০৫ অপরাহ্ণস্টাফ রিপোর্ট:
সারাদেশের সাথে সিলেটে দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার পর খুলে দেওয়ার অবশেষে খুলতে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। তবে বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য গত বছরের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়। বেশ কয়েক ধাপ বাড়ানোর পর আগামী ৩০ মার্চ স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এই সিদ্ধান্তকে কীভাবে দেখছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এব্যাপারে সিলেটের ছেলে-মেয়েদের স্কুল-কলেজে পাঠানো নিয়েন অভিভাবকেরা বলছেন, ‘দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় আমার ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখা থেকে মন উঠে গেছে। সারাদিন দৌড়াদৌড়ি করে আর বাইরে খেলাধুলা করতে চাই। দীর্ঘদিন দিনের পড়ালেখার এ গ্যাপ পূর্ণ করতে অনেক সমস্যা হবে। তাই আমি মনি করি স্বাস্থ্যবিধিটা খেয়াল রেখে ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানো হোক। আর স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ।’
এ প্রসঙ্গে সিলেট এমসি কলেজের শিক্ষার্থী মইনূল হাসান আবীর বলেন ‘আর অপেক্ষা না করে দ্রুত কলেজ খুলে দেওয়া উচিত। দীর্ঘদিন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় পড়াশোনা হচ্ছে না। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করা হোক।’
বেসরকারি চাকরিজীবী মাহমুদ খান বলেন, ‘আমার ছেলে রায়হান হাসান পাবনার একটি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। এক বছর স্কুল বন্ধ থাকায় আমার ছেলে যা শিখেছিল সব ভুলে গেছে।আমি প্রেশার দিলেও পড়তে বসে না৷ আমি সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাবো, সরকার যদি মনে ৩০ মার্চ স্কুলে দিলে ভালো আমরা সেটা মেনে নিয়েই আমার সন্তানকে স্কুলে পাঠাবো।’
উল্লেখ্য গতকাল শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, প্রথমেই সব শ্রেণির ক্লাস প্রতিদিন হবে না। প্রথমে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের দ্বাদশ, মাধ্যমিক পর্যায়ের দশম ও প্রাথমিকের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন (সপ্তাহে ছয় দিন) ক্লাস হবে। আর শিক্ষা-কলেজ খোলার পর প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে এক দিন ক্লাস হবে। এ ছাড়া নবম ও একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে দুই দিন করে ক্লাস হবে। এরপর করোনা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হলে ধীর ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ক্লাস শুরু হবে।