“রাজনীতিবিদের চরিত্র হরণ ও একজন ডায়মন্ড”
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ মে ২০২০, ৫:৫৭ পূর্বাহ্ণটিটু চৌধুরীঃ
প্রশাসনিক আমলা তন্ত্রের অত্যাধিক ক্ষমতা প্রয়োগের দৌরাত্ম্যে ও মিডিয়ার অপ প্রচারে রাজনীতিবিদের চরিত্র হরণ নতুন কিছু নয়,এদেশে সব দলের কমবেশি রাজনীতিবিদই এর শিকার হয়েছেন বা হচ্ছেন সারা দেশে,আমরা যারা রাজনীতি করি আমাদের রাজনীতি পরিচর্যা ও পরি কাঠামোর বিকাশের কারণে একসময় আস্তে আস্তে অনেক পরিচিতি গড়ে উঠে এই সমাজে,একজন সাধারণ মানুষের থেকে আমাদের পরিচিতি বেশি হয়ে থাকে,তাই আমাদের ব্যক্তিসত্বা আমরা কখনও হারাতে চাই না এই সমাজে বা রাজনীতিক অঙ্গনে।অন্যদিকে রাজনীতির কারনে আমাদের প্রতিযোগিতা ও পরিবেশ পরিস্থিতিতে অনেক শত্রু সৃষ্টি হয় এই সমাজে ও রাজনীতিক নিজ দল সহ বিরোধী দলে,দু’টি জিনিসই একটি অপরটির বিপরীত, আমরা যখন রাজনীতি প্রতিযোগিতার মাঠে নামি,তখন অন্য প্রতিযোগীরা সর্বদাই আমাদের একে অপরকে হারাতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহার অপপ্রচারের জন্য প্রশাসনিক ও মিডিয়ার দ্বার প্রান্ত হই,এতে যেমন নিজের ক্ষমতা প্রয়োগে ও প্রচারের জন্য , ঠিক প্রতিপক্ষের উপর ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপপ্রচারেও ব্যবহার হয়,আর এর ফলে প্রশাসন ও মিডিয়া উপরে নির্ভরশীলতার এই ফাঁকফুকরে প্রশাসন ও মিডিয়া সুযোগের সদ ব্যবহার করতে কার্পন্য বোধ করে না তাদের হীন সার্থ চরিতার্থ করতে।
ঠিক এই কারণে নিজ দল সহ অন্য দলের অনেক মানীগুনী রাজনীতিবিদের চরিত্র হরণ এই দেশে হয়েছে বা হচ্ছে।
আমি সামান্য কিছু ঘটনা টেনে আনছি নিজের দলেরই কিছু, একেবারে উপরের সারি নেতা থেকে মধ্য সারি ও নিচের সারির নেতাদের সাথে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা, প্রয়াত নেতা শ্রদ্ধেয় সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের চরিত্র হরণ করেছিলো একসময় প্রসাশনিক আমলা তন্ত্রের ক্ষমতার অপব্যবহার ও মিডিয়ার অপপ্রচার, যা কখনও ব্যক্তি সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের চরিত্রের সাথে কখনও যায় না, আমরা যারা শ্রদ্ধেয় নেতা প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি।ঠিক কিছুদিন আগে আরেকটি ঘটনা এই সিলেটের হাজারও ছাত্রীলীগ যুবলীগ আওয়ামীলীগ গড়ার কারিগর শ্রদ্ধেয় দাদা রণজিত সরকারের ক্ষেত্রে ঘটেছিলো,এমনকি এই আমলাতান্ত্রিক প্রসাশনের ক্ষমতার অপব্যবহার ও মিডিয়ার অপপ্রচারে,সামান্য তুচ্ছ বিষয় নিয়ে এমন একজন নেতার উপরে মামলা পর্যন্ত হয়েছিল, কিন্তু দাদাকে আমরা যারা কাছ থেকে চিনি তা কখনও একজন রনজিত সরকার ব্যক্তিগত চরিত্র হিসেবে বিশ্বাস করি না কখনও না।এবার আসি সিলেটের আরেক পরিক্ষিত আওয়ামীলীগের সৈনিক দুঃসময়ের ছাত্রনেতা পিযুষ কান্তি দে’কে কি হেনস্তা আর অপমানই না করা হয়েছিল আমলাতান্ত্রিক প্রশাসনের ক্ষমতার অপব্যবহার ও মিডিয়ার অপপ্রচার,
এবার আসি গতকালকের ঘটনায় আজকের অনেক পত্রিকাই রংবেরঙের নিউজ ছেপেছে ,এই সিলেটের রাজপথ কাঁপানো সাবেক ছাত্রনেতা বর্তমান যুবনেতা জয়নাল আবেদীন ডায়মন্ডকে নাকি প্রশাসন ২০ হাজার টাকা ছিনতাই মামলার সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করেছে, কি হাস্যকর আর অমানবিক চরিত্র হরণ হলো নিজের চোখেই জল এসে যাচ্ছে অজান্তে, এই মিথ্যা অপমানে।আমি জয়নাল আবেদীন ডায়মন্ডকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি, এই সিলেটের রাজপথে ছাত্রলীগের ইতিহাসে তার দুঃসময়ে শ্রম অনস্বীকার্য।
ব্যক্তি ডায়মন্ড একটু বেশি রাগি একটু বেশি জেদি, তবে তার ২০ হাজার টাকা চিন্তাই করার মনমানসিকতা কখনও হবে না এটা আমি হলফ করে বলতে পারি বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের সামনে।আর তার পরিবারের এই অবস্থা হয় নাই যে ছিনতাই করে সংসার চালাতে হবে, খুঁজে দেখতে পারেন তার পরিবারের বায়োডাটা,রাজনীতি জীবনে বিরোধী দল ও গ্রুপিং এর শিকার হয়ে অনেকেই আমরা রাজনীতিক মামলায় পড়েছি,তবে ডায়মন্ডের অতীত ইতিহাসে এরকম জগন্য ছিনতাই মামলার ইতিহাস বা বায়োডাটা সিলেটের প্রশাসনের কাছে কখনও ছিলো না, আপনারা সিলেটের সকল থানায় খুঁজে দেখতে পারেন,আজ সন্দেহজনক ভাবে তাকে আপনারা এই জগন্য মামলায় গ্রেফতার করলেন,
সিসিটিভি ফুটেজে তার কোন মিল খুঁজে পাননি আমাদের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ দেখেছেন সিসিটিভিতে, যে দোয়াশা ভিডিও দিয়ে সন্দেহ করলেন তা কখনো ডায়মন্ডের হওয়ার কথা নয়,বুজলাম সন্দেহ করলেন আপনার তদন্ত করবেন ডায়মন্ডকে যদি ১০০% সত্যিকার ভাবে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যেতো আমি নিজে থাকে প্রশাসনের কাছে তুলে দিতাম,একদিন যখন সত্যি ঘটনাটা বের হবে, মিথ্যা মামলা থেকে ডায়মন্ডের জয় হবে,তার যে চরিত্র হরণ হলো এটা তো টাকা দিয়ে সম্পদ দিয়ে ফিরিয়ে দিতে পারবেন না,
আপনারা কি ফিরিয়ে দিতে পারবেন?
আমার রাজনীতিক অভিবাবক প্রিয় নেতার একটি কথা আমার মনে হচ্ছে বার বার উনি একদিন বলেছিলেন সুযোগে অন্যায়ভাবে ক্ষমতার অপব্যবহারে যারা রাজনীতিক ভাবে কারো চরিত্র হরণ করে,
উপরআল্লাহ একদিন না একদিন তাদের চরিত্র হরণও এই সমাজেই মঞ্চস্থ করে।
আর যারা মনে মনে ভাবছেন ডায়মন্ড আওয়ামীলীগের পরিক্ষিত সৈনিক হোক কিন্ত সে তো আমাদের গ্রুপের না তাকে অপমান করলে কি আসে যায় আমাদের তো হয়নি,
মনে রাখবেন আজকে আমলাতান্ত্রিক প্রশাসনের ক্ষমতার অপব্যবহার ও মিডিয়ার অপপ্রচারে একদিন আপনার চরিত্রও হরণ হবে।
সবশেষে প্রশাসনের কাছে একটাই দাবি, সুস্পষ্ট তদন্তের মাধ্যমে মিথ্যা মামলা থেকে,সিলেটের আওয়ামীলীগ পরিবারের রাজপথের দুঃসময়ের একজন পরীক্ষিত মুজিব সৈনিক জয়নাল আবেদীন ডায়মন্ডকে মুক্তি দেয়া হোক।
লেখকঃ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা
. . . . . . . . .