ট্রেনে উঠতে ভরসা মই !

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ নভেম্বর ২০২০, ৫:১৩ অপরাহ্ণনাটোরের মালঞ্চি, ইয়াছিনপুর ও বাসুদেবপুর রেল স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ হয়েছে কয়েক বছর আগে। মাষ্টার ছাড়াই চলছে এসব স্টেশন। স্টেশনে ঝুলছে তালা। সিগনাল ছাড়াই এসব স্টেশন হয়ে চলাচল করে ট্রেন। নাটোর ও আব্দলপুর স্টেশন থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় সিগনাল।
আন্তনগর ট্রেনগুলো দাঁড়ায় না এসব স্টেশনে। পাবর্তীপুর থেকে খুলনাগামী রকেট মেইল ও রাজশাহীগামী উত্তরা এক্সপ্রেস
নামের দুটি লোকাল ট্রেন থামে এসব স্টেশনে। ট্রেন দুটি তাদের মতো করেই এসব ট্রেনে এসে থামে এবং যাত্রি উঠিয়ে চলে যায়। ট্রেন দু’টির নির্ধারিত সময় বেধে দেওয়া থাকলেও যাত্রিদের অপেক্ষা করতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ট্রেনের আগমন জানতে লাইনের অদুরে তাকেয় থাকতে হয় যাত্রিদের।
মাস্টার বা টিকিট কাউন্টার না থাকায় ট্রেনের ভিতরেই যাত্রিদের টিকিট সংগ্রহ করতে হয়। এসব স্টেমনে চারটি পৃথক রেলক্রসিংয়ের ব্যবস্থা থাকলেও ব্যবহারের উপযোগী লাইন মাত্র একটি। সেটাও প্লাটফরম থেকে বেশ দূরে। ফলে মই বা চা দোকানের ব্রেঞ্চ পেতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে ওঠানামা করতে হয় যাত্রীদের। এসব স্টেশনে ট্রেন ধরতে আসা যাত্রিদের
ভোগান্তিসহ দুর্ভোগ এখন নিত্য সঙ্গি। বিশেষ করে ১৯২৭ সালে বৃটিশ সরকারের আমলে স্থাপিত বাগাতিপাড়া উপজেলা সদরের মালঞ্চি স্টেশন হয়ে চলাচলকারী সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী,শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ী সহ সাধারণ যাত্রিদের ভোগান্তি সহ পোহাতে হয় অসহনীয় দুর্ভোগ। উপজেলা সদরের এই মালঞ্চি স্টেশন সংলগ্ন সরকারী অফিস আদালত ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় অনেকেই রেল পথে এসে অফিস করতেন।
কিন্তু স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ায় এখন সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এই উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ।
নাটোর রেল স্টেশনের স্টেশন মাষ্টার অশোক কুমার চক্রবর্তী বলেন, জনবলের অভাবে গুরুত্বপূর্ণ এসব স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। মূলত লোকবল সংকটের কারণে স্টেশনটির এই দুরাবস্থা।
স্টেশনগুলো পুনরায় চালু করতে জনবল নিয়োগ পক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
রেল পথ মন্ত্রনালয়ের সংসদীয় কমিটির সদস্য এবং নাটোর-২ (সদর ও নলডাঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, স্টেশনগুলো কেন বন্ধ এবং এগুলো চালুর জন্য কোনো উদ্দোগ নেওয়া হয়েছে কিনা এবিষয়ে রেলের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছেন। একই সাথে পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপকের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বলেছেন
. . . . . . . . .