সুনামগঞ্জে বিপদসীমার উপরে সুরমার পানি, বন্যার আশঙ্কা
সিকডে
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ জুলাই ২০২৪, ৩:৪৯ অপরাহ্ণভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি ও সুনামগঞ্জে অতি বৃষ্টিতে আবারও বাড়ছে সুরমা, কুশিয়ারা, যাদুকাটাসহ সকল নদ-নদীর পানি।
সোমবার (১ জুলাই) সকাল থেকে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সাথে ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু গ্রামীণ সড়ক।
গত ১৭ জুন থেকে ঈদুল আজহার সময় প্রায় এক সপ্তাহ বন্যা ছিল সুনামগঞ্জে। এতে অনেক ভোগান্তিতে ছিলেন বন্যা কবলিত অনেক মানুষ। আবারও বন্যা আতঙ্কে উৎকণ্ঠায় সময় পার করছেন সুনামগঞ্জ জেলার ২৫ লাখ মানুষ।
সকালে ঢলের পানিতে আবারও তলিয়ে গেছে পৌর শহরের উত্তর আরপিননগর, সেলু বাড়ি ঘাট, তেঘরিয়া, বড়পাড়া নদীর পাড় সহ বেশ কয়েকটি এলাকার রাস্তাঘাট।
এদিকে, ঢলের পানিতে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দূর্গাপুর সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় জেলা শহরের সাথে আবারও তাহিরপুর উপজেলার সরাসরি সড়ক পথে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে ।
এ ছাড়াও ছাতক, দোয়ারাবাজার, মধ্যনগর সহ বেশ কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চলের গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় আবারও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নিম্নাঞ্চলের ৫ লাখেরও বেশি মানুষকে। তবে এক মাসে দুই বার পানি বাড়ায় নাজেহাল হয়ে পড়েছে নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের জনজীবন।
সুনামগঞ্জ শহরের তেঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা ইকবাল মিয়া বলেন, ‘পানি যেভাবে বাড়ছে, আবারও যদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তাহলে আমাদের অবস্থা বেহাল হয়ে যাবে। কিছুদিন আগে একটা বন্যার ধকল কাটিয়ে ওঠলাম মাত্র। আবারও বন্যা, কী যে আছে আমাদের কপালে!’
সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের বাসিন্দা মকবুল মিয়া জানান, ‘আবারও বাড়ছে নদীর পানি। ইতোমধ্যে সড়কে পানি ওঠে গেছে। মাত্র ক’দিন হল আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি এসেছি। যে অবস্থা মনে হচ্ছে বাড়ি ঘরে পানি ওঠে যাবে। আবারও যেতে হবে আশ্রয়কেন্দ্রে।’
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, ‘সুনামগঞ্জে নদ-নদীর পানি ইতোমধ্যে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি কমে গেলে সুনামগঞ্জে নদীর পানি কমে যাবে। আর এখন যেহেতু পানি বাড়ছে সেক্ষেত্রে জেলায় স্বল্প মেয়াদি একটা বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।’
সিলেট/আবির