টাকা ধার না দেয়ায় খুন হলেন ওসমানীনগরে প্রবাসী বৃদ্ধা
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ আগস্ট ২০২০, ৫:২৭ অপরাহ্ণডেস্ক রিপোর্ট:: সিলেটের ওসমানীনগরে রহিমা বেগম আমিনা (৬৫) নামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী বৃদ্ধা খুনের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে পূর্বের একটি হত্যা মামলার আসামী ও রহিমা বেগমের পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়া নগরীকাপন গ্রাম এর আব্দুল কাছিমের ছেলে আব্দুল জলিল কালু (৩৯) কে শুক্রবার রাত সোয়া ৩টায় গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে সে সিকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, ২৮জুলাই রহিমা বেগমের কাছে পাঁচ হাজার টাকা ধার চায় সে। তিনি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে তাকে গালিগালাজ করেন। এসময় সে ক্ষীপ্ত হয়ে তাকে হত্যার মনস্থির করে বাড়ির পাশে লুকিয়ে থাকে। টাকা ধার চাওয়ার ঠিক ৫মিনিট পর রহিমা ঘরের বারান্দা ঝাড়ু দিতে বের হলে সুযোগ বুঝে সে ভিকটিমের বসত ঘরে প্রবেশ করে। রহিমা ঘরে প্রবেশের সময় ওঁৎ পেতে থাকা কালু বাশের লাঠি দিয়ে ভিকটিমের মাথায় ২/৩টি করলে তিনি মাটিতে লুঠিয়ে পড়েন। পরে সে ঘরে থাকা বটি দা দিয়ে গলা কেটে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ বাথরুমের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। এবং বাড়ির প্রধান গেইটে ৩টি তালা দিয়ে পালিয়ে যায় কালু।
এরআগে গত মঙ্গলবার রাত থেকে যুক্তরাজ্য প্রবাসী রহিমা বেগমের ব্যক্তিগত ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকা তার আত্মীয় স্বজন বিভিন্ন স্থানে ফোনে রহিমার খোঁজ করেন। কোথাও তাকে না পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে এসে বাসাটি তালবদ্ধ দেখতে পান নিহত রহিমার ছোট ভাই অব্দুল কাদির সহ অন্যান্য স্বজনরা। পরে বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করা হলে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে পুলিশ নিহতের স্বজনদের সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে বাসার তালা ভেঙ্গে বাথরুম থেকে রহিমা বেগমের রক্তাক্ত মাখা লাশ দেখতে পান।
গ্রেফতারের পর আসামীর দেয়া তথ্য মতে, তার বসত ঘরের কাপড়ের প্লাষ্টিকের ঝুড়ি থেকে রহিমা বেগমের মোবাইল ফোন ও ভিকটিমের রান্না ঘর থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বাশ ও বটি দা উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও ২০০৭ সালের একটি মামলার এজহারভুক্ত আসামী এবং সে খুন, চুরি ও ডাকাতির সাথে জড়িম মর্মে এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৩১ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউপির নিজ করনসী রোডের তেরহাতি এলাকার নিহতের নিজ বাসা থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। নিহত রহিমা বেগম উপজেলার উমরপুর ইউপির কটালপুর গ্রামের মৃত আখলু মিয়ার স্ত্রী। তিনি গত ২ বছর ধরে যুক্তরাজ্য থেকে ফিরে নিজ মালিকানাধীন বাসায় একাই বসবাস করে আসছেন। নিহত রহিমা বেগমের ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের ভাড়াটিয়া ইস্পাহানি কোম্পানীর ম্যানেজার আব্দুল কাইয়ুম ও একই কোম্পানীর ড্রাইভার খুরশেদ আলমকে সন্দেহজনক ভাবে আটক করেছিল পুলিশ। . . . . . . . . .