কাদা ছোড়া-ছুড়ি বন্ধ না করলে উগ্রপন্থিরা মাথাচাড়া দেবে: ফখরুল
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ অক্টোবর ২০১৫, ৩:৪১ অপরাহ্ণরাজনীতিবিদরা কাদা ছোড়া-ছুড়ি বন্ধ না করলে বাংলাদেশে উগ্রপন্থিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (০৮ অক্টোবর) নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সম্প্রতি দেশে ঘটে যাওয়া কিছু বিষয় নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে দুই বিদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে দেশ রক্ষায় প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, বিষয়টি নিয়ে অপরাজনীতি করা হচ্ছে। ফলে জাতির এই ক্রান্তি লগ্নে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠছে না। আমরা মনে করি রাজনীতিবিদরা কাদা ছোড়া-ছুড়ি বন্ধ না করলে উগ্রপন্থিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।
ফখরুল বলেন, এর আগেও দেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। সে সময় সবার সহযোগিতায় আমরা দেশ থেকে সফলভাবে জঙ্গিবাদ নির্মূল করেছিলাম। পরিতাপের বিষয় আজকের সরকার সেটি করতে চাচ্ছে না। দায় চাপাচ্ছে প্রতিপক্ষ রাজনীতিবিদদের ওপর।
সরকারের একটি অংশের সঙ্গে আরেকটি অংশের কথার মিল নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি অংশ বলছে, দেশে আইএসের মতো ভয়ংকর জঙ্গিগোষ্ঠীর অস্তিত্ব আছে। আরেকটি অংশ বলছে নেই।
সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয়, দেশে গণতন্ত্রই নেই। গণতন্ত্রহীনতার সুযোগে দেশে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে- বলেন ফখরুল।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সাহসের সঙ্গে অতীতে সব সমস্যার সমাধান করেছে, ভবিষ্যতেও করবে। সরকার যদি দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসে, স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে, তাহলে তারা জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার উদ্যোগ নেবে। সরকার যেহেতু চালকের অবস্থায় রয়েছে, সেহেতু জাতীয় ঐক্য গঠনে তাদেরই উদ্যোগ নিতে হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, গত নির্বাচন দেশ ও আন্তর্জাতিকভাবে কেউ গ্রহণ করেনি। আমরা বারবার বলছি একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আলোচনা প্রয়োজন। আলোচনা মাধ্যমে গণতন্ত্র বিকশিত হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। শুধু মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা নয়, সব পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ আসছে। দুর্নীতি ও লুটপাট সব ব্যবস্থাপনাকে শেষ করে দিয়েছে।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ দফতর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করিম শাহীন, কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক তকদির হোসেন জসিম প্রমুখ।
. . . . . . . . .