অবশেষে পদত্যাগ করলেন সিইসিসহ পূর্ণ কমিশন
সিকডে
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২:২৬ অপরাহ্ণঅবশেষে পদত্যাগ করলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য চার কমিশনার। বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের এ সিদ্ধান্ত জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সংবাদ সম্মেলন শেষে ইসি সদস্যরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে যাবেন। এসময় কমিশনার মো. আলমগীর ও আহসান হাবিব উপস্থিত ছিলেন।
সিইসি বলেন, বর্তমান ছাত্র জনতার অভ্যূথানে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, নতুন অন্তবর্তী সরকার গঠন ও নির্বাচন কমিশন সংস্কার করা হবে এমন দাবির পেক্ষিতে পুরো কমিশন পদত্যাগ করছে বলে জানান তিনি।
এর আগে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বেশ কিছুদিন ধরেই পদত্যাগের গুঞ্জন চলছিল নির্বাচন কমিশনে। গত ২৪ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে ‘সংস্কার-বিপ্লব ও ফরমান : সরকার ও সংবিধান’ শিরোনামে কলাম লেখেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। ওই কলামে তিনি দাবি করেন, আলোচনার জন্য তিনি কাউকে খুঁজে পাচ্ছেন না। সিইসি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সংবিধান স্থগিত না করেই যেভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যক্রম চলছে, তাতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতার কারণে নির্বাচন কমিশন ‘সাংবিধানিক সংকটে’ পড়বে।
এমন প্রেক্ষাপটে ‘বিপ্লবের উদ্দেশ্যসমূহকে এগিয়ে নিতে’ অসামরিক ফরমান জারি করে সংবিধান পুরোপুরি অথবা আংশিক স্থগিত করার আহ্বানও জানান তিনি। আর এ নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনাও হয়। প্রশ্ন ওঠে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের একজন প্রধান হিসেবে কীভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাংবিধানিক সংকট নিয়ে কথা বলেন সিইসি; আসলে কী চান তিনি।
তারপরে বিগত ৫ জুলাই থেকে গতকাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ইসির পদত্যাগ নিয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন একদল বিক্ষুব্ধ জনতা। নির্বাচন কমিশনের দেয়ালে পদত্যাগের ব্যানারও সেটে দেন বিক্ষুব্ধরা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একাধিক উপদেষ্টাও নির্বাচন কমিশনের সংস্কার করা হবে বলে জানান।
ইসি সূত্রে আরো জানা যায়, নেপালে শুরু হওয়া সার্কভুক্ত দেশগুলোর নির্বাচন কমিশনারদের সংগঠন ফেমবোসার অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেননি সিইসি। গত মঙ্গলবার তার নেপাল যাওয়ার কথা ছিল। আগামীকাল ৬ সেপ্টেম্বর দেশে আসার কথা। ওই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে জিও জারি করা হয়। ওই জিও বাতিল করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সিইসি হিসেবে নিয়োগ পান সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান। নিয়োগের একদিন পর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর কাছে শপথ নেন তারা।
জাতীয়/হা