সিলেটের বন্যা প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে: মেয়র
সিকডে
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ জুন ২০২৪, ১১:৩৮ অপরাহ্ণ
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো: আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, সিলেটের বন্যা প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বন্যার কারণগুলো খুজে বের করে সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে। প্রয়োজনে বুয়েট,শাবিসহ বন্যা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সেমিনার করে একটি সুপারিশমালা তৈরী করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সিলেটের ব্যাপারে খুবই আন্তরিক।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাত ৯টায় নগর ভবনের সভা কক্ষে সিলেট নগরীতে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, চলমান বন্যায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সিসিক কতৃর্পক্ষ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির খোঁজ—খবর নিচ্ছেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, বন্যা প্রতিরোধে নদীখননের বিকল্প নেই। জাফলং এলাকায় উজান থেকে নেমে আসা পাথরের স্তুপ জমে নদীর নাব্যতা হ্রাস পেয়েছে। গত সাত বছর থেকে এই সব নদী হতে পাথর উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। সনাতন পদ্ধতি পাথর উত্তোলন শুরু করা যায় কিনা তা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলতে হবে।
মেয়র বলেন, সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বন্যা কবলিত এলাকার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোয় স্থানীয় কাউন্সিলরদের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা শুরু হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোয় রান্না করা খাবারসহ ওষুধ সামগ্রী পৌছে দেওয়া হবে। দুর্গত এলাকাগুলোতে সার্বক্ষণিক যোগযোগ রাখছে নগর ভবন। বিদ্যুৎ কেন্দ্র রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে।
তিনি নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আরও বলেন, বন্যায় আতংকিত না হয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করুন। যাদের বাসায় বৈদুতিক লাইন পানির নিচে ঢুবে গেছে তারা স্থানীয় কাউন্সিলরকে অবগত করে সিটি কর্পোরেশনের সহায়তা নিন। অতীতের মত যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় নগরবাসীর পাশে আছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। জরুরি প্রয়োজনে নগর ভবনে সরাসরি কিংবা হটলাইন নাম্বারে ( ০১৯৫৮২৮৪৮০৭) যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
দল মত নির্বিশেষে সম্মিলিত ভাবে এই প্রাকৃতিক দুযোর্গ মোকাবিলা করতে হবে এবং বৃত্তবান ও প্রবাসীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র মখলিছুর রহমান কামরান, কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদসহ অন্যান্য কাউন্সিল বৃন্দ।
সিলেটসংবাদ/হা