এমসিকিউ পদ্ধতিতে মাধ্যমিকে ভর্তি চায় মাউশি
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ নভেম্বর ২০২০, ৬:২২ অপরাহ্ণসিলেটের কন্ঠ:
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিতে এমসিকিউ (মাল্টিপল চয়েজ কোশ্চেন) পদ্ধতিতে পরীক্ষার মাধ্যমে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া সময় কমিয়ে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করারও প্রস্তাব করা হয়েছে।
সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনলাইনে এ পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে বলে সোমবার (৯ নভেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে এসব প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, ২০২১ শিক্ষাবর্ষে রাজধানীর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির সংশোধিত নীতিমালা জারি করা হয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে কোন পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে সে বিষয়টি নির্ধারণ করতে গত ২৭ অক্টোবর মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুকের সভাপত্বিতে এক ভার্চুয়াল সভা করা হয়। সেখানে রাজধানীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানরা ভর্তি পরীক্ষাসহ বেশ কিছু পরামর্শ দেন। তার ভিত্তিতে নতুন করে চারটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে মাউশি।
প্রস্তাবে দেখা গেছে, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পরীক্ষার আয়োজনে স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকায় সেটিকে গুরুত্ব দিয়ে রাজধানীর সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোকে তিনটি ক্লাস্টারে (ক, খ, গ) ভাগে বিভক্ত করে প্রতিটিতে ৩ দিন করে মোট ৯টি পরীক্ষা নেওয়ার করার প্রস্তাব করা হয়েছে। কোভিড পরিস্থিতিতে সশরীরে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা না নিয়ে সময় কমিয়ে এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া, সব শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা, প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে ভর্তি নেওয়ার প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়াও সরকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরর আন্তঃজেলা/উপজেলা বদলির কারণে নতুন কর্মস্থলের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা উপপরিচালক অথবা যে জেলায় উপপরিচালক নেই সেখানে শিক্ষা কর্মকর্তার প্রত্যায়নক্রমে তাদের সন্তানের ভর্তির জন্য মোট আসনের ৫ শতাংশ অতিরিক্ত সংরক্ষিত থাকবে। এ ক্ষেত্রে আগে আবেদন করলে আগে ভর্তির সুযোগ পাবে। এটি কার্যকর করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
সংশোধীত ২০২০ ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী, ২য় থেকে ৩য় শ্রেণির ভর্তির পরীক্ষায় বাংলা বিষয়ে ১৫, ইংরেজিতে ১৫ এবং গণিতে ২০ পূর্ণমান নম্বর নিধারণ করে ১ ঘণ্টা এবং ৪র্থ থেকে ৮ম পূর্ণমান-১০০ নম্বরের মধ্যে বাংলায় ৩০, ইংরেজিতে ৩০ এবং গণিতে ৪০ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হলে এ সময় কমিয়ে আনা হবে।
মাউশি থেকে জানা গেছে, প্রতি বছর রাজধানীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ১০ হাজারের বেশি শূন্য আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়ে থাকে। এসব আসনে ভর্তির জন্য প্রায় এক লাখের মতো আবেদন জমা হয়। প্রতি আসনে ৫-৬ জন প্রার্থীকে প্রতিযোগিতা করতে হয়। এ কারণে ভর্তির সময় শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের বড় সমাগম হয়। এবার করোনা পরিস্থিতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে এক ধরনের জটিলতা তৈরি হয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ভর্তি নীতিমালা ২০২০ অনুযায়ী, এবারো আগের মতো রাজধানীর ৪১টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তিনটি ক্লাস্টারে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। তবে আগে প্রতিটি ক্লাস্টারে একটি বিদ্যালয়ে আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হলেও এবার প্রতিটিতে পাঁচটি করে মোট ১৫টি বিদ্যালয়ে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তি আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
মাউশির পরিচালক (বিদ্যালয়) অধ্যাপক বেলাল হোসাইন বলেন, আগামী বছর শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর বিষয়ে একটি পূর্ব প্রস্তুতিমূলক সভা হয়েছে। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের মতামত চাওয়া হয়েছে। তার ভিত্তিতে আমরা একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত করা হলে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা হবে।
মাউশির সহকারী পরিচালক (বিদ্যালয়-১) আমিনুল ইসলাম টুকু জানিয়েছেন, অক্টোবরে সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা জারি করা হয়েছে। প্রতিবছর রাজধানীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণিতে ১০ হাজারের বেশি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। এসব আসনে ভর্তির জন্য ১ লাখের মতো আবেদন জমা পড়ে। এ কারণে ভর্তি পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের ভিড় হয়। এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। . . . . . . . . .