খালেদার একার লড়াই, পুত্রের সঙ্গে, নিজের সঙ্গেও
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ মে ২০১৬, ৯:১৭ পূর্বাহ্ণ২০০৯ সালে আর্থিক অনিয়মে তারেক লন্ডনে নির্বাসিত হওয়ার পর নিস্তার পেয়েছিলেন খালেদা। যদিও দলটা ততদিনে হাড়গোড় ভাঙা ‘দ’ হয়ে গিয়েছিল। তাকে টেনে তোলাটা যে কতটা কঠিন এবং জটিল খালেদা তা হাড়ে হাড়ে বুঝছেন। তিনি হাল ছাড়েননি। অসুস্থ শরীরেও যতটা পারছেন, সামাল দিচ্ছেন দলটাকে। তারেক কিন্তু মায়ের হাতে সব দায়িত্ব ছেড়ে বসে থাকতে নারাজ। রিমোট কনট্রোলে দলটার কর্তৃত্ব রাখতে তাঁর চেষ্টার ত্রুটি নেই। ফোনে যোগাযোগ রাখছেন তাঁর কাছের নেতাদের সঙ্গে।
আপাতত দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দু’জনের মধ্যে যোগাযোগ স্তিমিত। ষষ্ঠ জাতীয় কউন্সিল গঠনের পর তারেক লক্ষ্য করেছেন, তাঁর কোনও ইচ্ছেরই মূল্য দেওয়া হচ্ছে না। তিনি দলের গঠনতন্ত্রের সংশোধন চেয়েছিলেন। দলে কো-চেয়ারম্যানের পদ সৃষ্টির দাবি ছিল তাঁর। ভেবেছিলেন সেই পদে তাঁর লোক থাকলে খালেদার ক্ষমতা খর্ব হবে। তিনি নেপথ্যে থেকে ছড়ি ঘোরাতে পারবেন। সেটা হয়নি, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর অধিকারও সঙ্কুচিত। উপদেষ্টা পরিষদে তিনি যুক্ত থাকতে পারছেন না।
ক্ষুব্ধ তারেক নিজেকে অনেকটা সরিয়ে নিয়েছেন। তাতে অসুবিধেও হচ্ছে। কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা যাচ্ছে না। স্থায়ী কমিটি, উপদেষ্টা পরিষদ, নির্বাহী কমিটির অনেক পদ শূন্যই রয়েছে। খালেদা নিজে পুত্র তারেকের সঙ্গে কথা বলতে চান না। বরং তারেক কন্যাকে তিনি খুবই ভালবাসেন। যথেষ্ট আদরে তাকে আগলে রেখেছেন। খালেদার স্বপ্ন, নাতনিই একদিন দলের হাল ধরবে। কিন্তু সে তো অনেক দিনের ব্যাপার। তার বড় হতে আরও সময় লাগবে। আপাতত তারেকের কাছে একজন প্রতিনিধি পাঠাতে চাইছেন খালেদা। যার কাজ হবে রফা করা। দলের উচ্চ পর্যায়ের কমিটিতে তারেক যদি কোনও নাম সুপারিশ করে সেটা ভেবে দেখা যেতে পারে। খালেদা ধরেই নিয়েছেন, বিএনপির হাল তাঁকেই শক্ত হাতে ধরে রাখতে হবে। নিঃসঙ্গ যাত্রায় এটা তাঁর একার লড়াই।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
. . . . . . . . .