মসজিদুল আকসার খতিবের ইমামতিতে জুম’আর নামাজ: কাজির বাজারে মানুষের ঢল

মুসলমানদের প্রথম কিবলা মসজিদে আকসার ইমাম ও খতিব, বিশ্ব বরেণ্য আলেম শায়েখ আলী ওমর ইয়াকুব আব্বাসী বলেছেন, মসজিদে আকসা মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ের স্পন্দন। এ মসজিদে এক রাকাত নামাজ আদায় করলে পঞ্চাশ হাজার রাকাত নামাজের ছওয়াব পাওয়া যায়। মহানবী সা: মেরাজ রজনীতে এ মসজিদেই এক লক্ষ ছব্বিশ হাজার নবীগণের নামাজে ইমামতি করে এখান থেকেই মেরাজে গমন করেছিলেন। কিন্তু আজ পরিতাপের বিষয় মুসলিম উম্মাহর জন্য তাউন্মুক্ত নয়, ইউরোপীয়ান আমেরিকান মুসলমানগণ যেতে পারলেও আর কেউ যেতে পারেনা। ফিলিস্তিনীদের জন্যও বিধি নিষেধ আছে। তা সত্বেও সেখানে নিয়মিত নামাজ আদায় হচ্ছে। ফিলিস্তিনী মুসলমানরা যুগ যুগ ধরে মসজিদে আকসার মুক্তিতে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। ফিলিস্তিনী মুক্ত সংগ্রাম সমস্ত মুসলমানদের জন্য জিহাদ। বায়তুল মুকাদ্দস মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি আজ সিলেট নগরীর ঐতিহ্যবাহী জামেয়া মাদানিয়া কাজির বাজার মাদ্রাসার মাঠে জুম’আ পূর্ব মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবীবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে হাজার হাজার তৌহিদী জনতা অংশগ্রহণ করেন। মাহফিল শেষে তিনি জুম’আর খুৎবা ও নামাজের ইমামতি করেন। জুম’আর নামাজে ধর্মপ্রাণ জনতার ঢল নামে। জামেয়ার তিন তলা মসজিদ, ক্যাম্পাস পূর্ণ হয়ে রাজপথে মানুষ নামাজ আদায় করেন। জামেয়ার মুহাদ্দিস মাওলানা শাহ মমশাদ ও ভাইস প্রিন্সিপাল ছামিউর রহমান মুসার  যৌথ উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন জামেয়ার হোস্টেল সুপার মাওলানা আব্দুস সোবহান, জামেয়ার মুহাদ্দিস সিদ্দিকুর রহমান, জামেয়ার সাবেক ছাত্র যুক্তরাজ্যের বিশিষ্ট আলেম মাওলানা ফরিদ আহমদ খান, ব্যারিস্টার সালেহ আহমদ হামিদী, মাওলানা ফয়েজ আহমদ প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবীবুর রহমান বলেন, জামেয়ার মাদানীয়ার শিক্ষার্থীদের মাধ্যমেই আজ মসজিদে আকসার ইমাম আমাদের মাঝে উপস্থিত। সারা পৃথিবীতে জামেয়ার ছাত্ররা গৌরবোজ্জল ভূমিকা রাখছে। আপনাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে তা আরো বৃদ্ধি পাবে ইনশাআল্লাহ। মাহফিল পরবর্তী দেশ ও জাতির সমৃদ্ধ কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন প্রধান অতিথি।

. . . . . . . . .