প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি লটারিতে, নীতিমালা তৈরি
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ নভেম্বর ২০১৫, ১০:১৪ পূর্বাহ্ণএখন থেকে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিশুদের আর ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে না। প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রণীত ‘শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা ২০১৫’-এ এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ নিদের্শনা ২০১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে কার্যকর হবে।
এ নীতিমালা অনুযায়ী, প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবশ্যিকভাবে লটারির মাধমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করতে হবে। লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীর তালিকা প্রস্তুত করার পাশাপাশি শূন্য আসনের সমান সংখ্যক অপেক্ষমান তালিকাও প্রস্তুত রাখতে হবে।
দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণির শূন্য আসনে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাক্রম অনুসারে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
নবম শ্রেণির ক্ষেত্রে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট বোর্ডের প্রস্তুতকৃত মেধাক্রম অনুসারে নিজ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির পর অবশিষ্ট শূন্য আসনে অন্যান্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নির্ধারিত ভর্তি কমিটি বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।
বিদ্যালয়গুলোর অবস্থান, শিক্ষার্থীদের সুবিধা/অসুবিধা বিবেচনা করে পরীক্ষা কমিটি বিদ্যালয়গুলোকে বিভিন্ন ক্লাস্টারে বিভক্ত করতে পারবে। আবেদন ফরমে শিক্ষার্থীদের পছন্দ ক্রমঅনুসারে উল্লেখ করতে হবে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, আগামী ২০১৬ শিক্ষাবর্ষে সব মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা সদরের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন গ্রহণ, আবেদনের ফি গ্রহণ এবং ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ ও প্রকাশ অনলাইনে করতে হবে। ২০১৭ শিক্ষাবর্ষ হতে দেশের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় অনলাইন পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
নীতিমালার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা বাসস জানায়, ঢাকা মহানগরীর সরকারি বিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করতে হবে।
অবশিষ্ট ৬০ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা মহানগরীর সব সরকারি বিদ্যালয়ের আওতাধীন সংশ্লিষ্ট এলাকা বা ক্যাচমেন্ট এরিয়া নির্ধারণ করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করবে।
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ‘শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা-২০১৫’ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে (www.moedu.gov.bd) পাওয়া যাবে।
. . . . . . . . .