৩ টাকার বিদ্যুতেই সারাদিন চলে ‘গ্যালাক্সি বাইক’ : পেল সরকারি স্বীকৃতি
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ অক্টোবর ২০১৫, ১১:৩১ পূর্বাহ্ণমাত্র ৩ টাকার বিদ্যুৎ খরচে সারাদিন চলে ‘গ্যালাক্সি বাইক’। এতে তেল গ্যাসেরও কোনো দরকার পড়ে না। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের মনোয়ারুল ইসলাম মুন্নার আবিষ্কৃত এই ‘গ্যালাক্সি বাইক’ অবশেষে সরকারি স্বীকৃতি পেয়েছে।
তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে ইতিমধ্যে তাকে ৪ লাখ টাকার অনুদানও দেয়া হয়েছে। তাকে সমপরিমাণ টাকা আগামীতে দেয়ার প্রতিশ্রুতিও রয়েছে। তাই নব উদ্যমে অধিকতর গবেষণা শুরু করেছেন তরুণ বিজ্ঞানী মুন্না।
সীতাকুণ্ড উপজেলা গেইট সংলগ্ন পেশকারপাড়ার বাসিন্দা মো. তাজুল ইসলামের ছেলে কলেজপড়ুয়া মুন্নার উদ্ভাবনী মেধা সম্পর্কে এলাকাবাসী কমবেশি জানেন। তবে তার মোটর সাইকেলটি সবচেয়ে বেশি আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। মুন্নার এই প্রযুক্তি বিস্মিত করেছে বুয়েটের প্রকৌশলীদেরও।
বুয়েটের প্রকৌশলীরা মুন্নার গ্যালাক্সি মোটর সাইকেলের ডায়াগ্রাম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বাংলাদেশের বাজারের জন্য এ ধরনের মোটর সাইকেল প্রয়োজন আছে বলে অভিমত দিলে সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় তাকে উৎসাহিত করতে ৮ লাখ টাকা অনুদান ঘোষণা করে। মুন্না নিজের আবিষ্কৃত মোটর সাইকেলটির নাম রেখেছেন ‘গ্যালাক্সি বাইক’।
তার ভাষায়, ‘এই মোটর সাইকেলটির বিশেষত্ব হলো এটি তেল গ্যাস ছাড়াই চলে। শুধু চার্জের প্রয়োজন হয়। গাড়িটি চালানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ১২ ভোল্টের ৫টি ব্যাটারি। অর্থাৎ ৬০ ভোল্টের ব্যাটারিতে মাত্র ৩ ঘণ্টা চার্জ দিলেই মোটর বাইকটি চলবে পুরোদিন। এতে তিন টাকার বিদ্যুৎ খরচ হবে। একবার চার্জে কমপক্ষে ৬০ কি.মি. চলবে এই গাড়ি।’
মুন্না জানান, তার এই বাইক তৈরিতে ৮০ হাজার টাকার মত খরচ পড়েছে। তিনি মনে করেন, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদন করা হলে এই বাইক মাত্র ৫০ হাজার টাকায় বাজারজাত করা যাবে।
মুন্না বলেন, যাতায়াত খরচ কমানোর চিন্তা থেকেই এই বাইক তৈরির চিন্তা তার মাথায় আসে। ২০১৪ সালের শেষ দিকে মুন্না মোটর সাইকেলটি বানাতে সক্ষম হন। প্রথমদিকে তার মোটর সাইকেলে একটি চেইনও লাগানো হয়। পরে আরো আধুনিক করার পর চেইনটি খুলে ফেলা হয়।
ক্ষুদে বিজ্ঞানী মুন্না জানান, শুধু মটরসাইকেলই নয় মোবাইল কলে যন্ত্রপাতি স্টার্ট, মটর অটো স্টার্ট যন্ত্র, অটোমেটিক পানির ট্যাংক ভর্তিকরণ ও খালি করার যন্ত্রসহ ১৭টি প্রযুক্তি আবিষ্কার নিয়ে কাজ করেছেন তিনি।
. . . . . . . . .