মধ্যরাতে কদমতলীতে হানিফের কাউন্টারে বিক্ষুব্ধ জনতার আগুন, পুড়লো দুটি লেগুনাও
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ অক্টোবর ২০১৫, ১০:২৭ পূর্বাহ্ণনিজস্ব প্রতিবেদক::
শুক্রবার মধ্যরাতে সিলেটের কদমতলীতে হানিফ পরিবহণের কাউন্টারে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোব্দ জনতা। এতে হানিফ পরিবহনের কাউন্টার ও কাউন্টারের সামনে থাকা দুটি লেগুণা পুড়ে যায়।
নবীগঞ্জের সৈয়দপুরে হানিফ পরিবহনের বাসের দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
সড়ক দুর্ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার স্ত্রী সন্তানসহ ৬ জন নিহত হন। আহত হন আরো ২০ জন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাত ২টার দিকে ২০/২৫ টি মোটরসাইকেলে একদল লোক হানিফ পরিবহনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দিতে কদমতলী বাস টার্মনালের কাউন্টারে এসে আগুন লাগিয়ে দেয়। এসময় কাউন্টারের সামনে থাকা হানিফ পরিবহনের যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত দুটি লেগুনায়ও অগ্নিসংেযাগ করে বিক্ষোব্দরা।
রাত ২টা ২০ মিনিটে সিলেট ও দক্ষিণ সুরমা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে। ঘটনাস্থলে যায় দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশও।
রত ৩ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় বলে জানান দক্ষিণ সুরমা ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ অধির।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় এ হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জের সৈয়দপুরে সিলেটগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাস সৈয়দপুরে মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৩ যাত্রী নিহত হন। আহত হন কমপক্ষে ২০ জন। পরে হাসপাতালে আরও ৩ জন মারা যান।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের উপ প্রচার সম্পাদক মোস্তাক আহমদ পলাশের স্ত্রী মোরশেদা বেগম (৪০) ও ছেলে মেহেদী (৪)। মোরশেদা বেগম অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে জানা গেছে। এছাড়া এক সেনা কর্মকর্তারও এ দুর্ঘটনায় নিহত হন।
. . . . . . . . .