কাউকে ভিসি করলেই তারা আন্দোলন করে, আবার নিজেরা ভিসি হয় না : প্রধানমন্ত্রী
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ অক্টোবর ২০১৫, ৯:৫৩ অপরাহ্ণনিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কাউকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিলেই তারা আন্দোলন শুরু করে। অথচ তারা নিজেরাও উপাচার্যের দায়িত্ব নেয় না।’
আজ সকালে গণভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন। তবে এসময় কারো নাম উল্লেখ করেন নি প্রধানমন্ত্রী।
সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে আসছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষকদের একাংশ। আন্দোলনকারীদের সাথে খ্যাতিমান লেখক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালেরও সমর্থন রয়েছে।
এছাড়া বেতন কাঠামো নিয়ে দেশের প্রায় সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাই আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।
রবিবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক শিক্ষকদের আন্দোলনের বিষয়টি তুলে ধরে জানতে চান, এ বিষয়ে সরকারপ্রধান কোনো হস্তক্ষেপ করবেন কি না।
এই প্রশ্নের জবাব দেওয়ার একফাঁকে প্রধানমন্ত্রী উপাচার্যবিরোধী আন্দোলন নিয়ে উপরের মন্তব্যটি করেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “উনাদের কোনো কথা নেই, বার্তা নেই, আমাদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ করে দেবে, কেন বন্ধ করে দেবে? শিক্ষকরা আন্দোলন করতে যাবে কিসের জন্য? আর যদি করতে হয়, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ করার কোনো রাইট তো তাদের নেই।”
শিক্ষকদের জন্য সচিবদের সমান সুযোগ সুবিধা দাবি করার আগে কে কি সুবিধা সরকারের কাছ থেকে পান- তা হিসেব করে দেখতে বলেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, সচিবসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসরের বয়স যেখানে ৫৯ বছর, সেখানে শিক্ষকরা ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরি করতে পারেন। আর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করার সুযোগ পেলেও সচিবরা তেমন সুযোগ পান না।
“যদি সমান করতে হয়, তাহলে তো সব কিছুই সমান সমান হতে হবে। চাকরির বয়স তো কমাতে হবে। আর যতদিন আন্দোলন শেষ না হবে ততদিন বর্ধিত বেতন নেবে না, এই তো… সেই সিদ্ধান্তও দিক, যে বর্ধিত বেতন নেবে না কেউ।”
যতদিন এই আন্দোলন শেষ না হচ্ছে, ততদিন তাদের বর্ধিত বেতনও নেওয়া উচিৎ হবে না বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
অষ্টম বেতন কাঠামোতে ৯১ শতাংশ বেতন বাড়ানোর কথা মনে করিয়ে দিয়ে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমার মনে হয় একটু বেশি দিয়ে ফেলেছি। একটু কমায় দেওয়া ভাল ছিল।”
এ বিষয়ে শিক্ষকদের আন্দোলন করার দরকার ছিল না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে তার হস্তক্ষেপ করার কিছু নেই।
“আন্দোলন যেহেতু করছেন- মাননীয় অর্থমন্ত্রী আছেন, শিক্ষামন্ত্রী আছেন, তারা দেখবেন। কমিটি করা হয়েছে, তারা দেখবে। আমরা উনাদের (শিক্ষক) অনুরোধ করব, ছেলেমেয়েগুলোর ভবিষ্যত যেন নষ্ট না করে।” . . . . . . . . .