মইন উদ্দিন আর্দশ মহিলা কলেজ থেকে দুর্নীতিবাজ স্টাফ কাউন্সিল সোহেলের পদত্যাগ চান শিক্ষকরা
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ আগস্ট ২০২৪, ৫:০০ অপরাহ্ণসিলেট শামীমাবাদ এলাকায় অবস্থিত মইন উদ্দিন আর্দশ মহিলা কলেজ সিলেট এর ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এনামুল হক চৌধুরী সুহেলের পদত্যাগ চান শিক্ষকরা। সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে মোমেন এর মদদপুষ্ট রাজনৈতিক কর্মী বলে পরিচিত সুহেল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সরাসরি বিরোধিতা করেন এবং আন্দোলনে সমর্থনকারী শিক্ষার্থীদেরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন বলেও জানা গেছে।
কলেজে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রভাব খাটিয়ে হেন দুর্নীতি নেই যা তিনি করেন নি। তার ভয়ে অতিষ্ঠ ছিলেন কলেজের প্রায় সব বিভাগের সাধারন শিক্ষকরা। কিন্তু ফ্যাসিবাদের নাগপাশে আবদ্ধ থাকায় কখনো মুখ ফুটে কাউকে বলতে পারেন নি। গত ৫ আগষ্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এবার মুখ খুলতে শুরু করেছেন তারা। রাষ্ট্র সংস্কারের মত এই কলেজেও দুর্নীতিবাজদের সরানোর সংস্কার চান তারা।
কলেজের ইংরেজী বিভাগের শিক্ষক ও বর্তমানে যুক্তরাজ্যে এম এড রিসার্চার মাহবুবুর রউফ তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এনামুল হক চৌধুরীর সুহেলের নানা কুকীর্তি তুলে ধরেন। সেখানে তিনি ছবি দিয়ে উল্লেখ করেন “আমার সাবেক সহকর্মী সুহেলের ইদানিং ফেইসবুক আইডি দেখে লক্ষ্য করা যায় ৫ ই আগস্ট ২০২৪ এর পূর্ব পর্যন্ত তার রাজনৈতিক পদবি ছিল বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ সিলেট জেলার “সাংগঠনিক সম্পাদক”। এছাড়াও তিনি দাবী করতেন তিনি মোমেন সাহেবের কাছের লোক বলে। কিন্তু ৫ ই আগস্ট ২০২৪ এর পরে (সরকার পরিবর্তনের পরপরই) সুহেল তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে “বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ” সিলেট জেলা শাখার সাংগঠনিক পদবি সহ সংশ্লিষ্ট সকল রাজনৈতিক তথ্য মুছে দেন।(ডকুমেন্টস কমেন্টে দেয়া আছে)
তাই বর্তমান সরকারের আমলে আওয়ামী নামধারী দলকানা, চাটুকার ও পল্টিবাজ শিক্ষক এনামুল হক চৌধুরী সুহেল এর কলেজের প্রশাসনিক পদে (staff council secretary পদ সহ ) অন্যান্য পদে নৈতিকভাবে থাকার আর কোন সুযোগ নেই।
অনতিবিলম্বে সুহেলকে স্টাফ কাউন্সিল সেক্রেটারি পদ থেকে অপসারণ করতে কলেজ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানাই এবং তাঁর ঐ পদসহ বিভিন্ন কমিটির সদস্য থাকা অবস্থায় অতীতে কলেজ উন্নয়নের নামে “আয় – ব্যায় এর হিসাব” নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকাশ করারও জোর দাবী জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য,২০২০ সালে গিয়াস উদ্দিন ও সুহেল কলেজ এর মাঠ ভরাটের সরকারি টাকা মেরে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্ত,আমার লিখিত প্রতিবাদে ও প্রশাসনের সরেজমিন তদন্তের মাধ্যমে প্রমানিত হওয়ায় অবশেষে গিয়াস ও সুহেল কলেজের মাটি ভরাটের টাকা ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হন। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমেও তখন বিষয়টি উঠে আসে।
জানা গেছে আওয়ামী মদদপুষ্ট সুহেলকে কলেজ থেকে সরিয়ে দিতে ইতিমধ্যে শিক্ষকরা একটি সভা আহবান করেছেন। সেখানেই তারা এ ব্যাপারে তাদের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন।