অবশেষে বৃহস্পতিবার কাজির বাজার সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ অক্টোবর ২০১৫, ৭:১০ পূর্বাহ্ণস্টাফ রিপোর্টার::
সিলেটে এসে নয় ঢাকায় বসেই অবশেষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আগামি বৃহস্পতিবার সুরমা নদীর ওপর নির্মিত কাজির বাজার সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও এরআগে প্রধানমন্ত্রী সিলেট সফরে এসে নগরের কাজিরবাজার গার্ডার সেতুর উদ্বোধন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
গত ২০ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গার নয়টি সেতু উদ্বোধন করেন। এরমধ্যে সিলেটের দুইটি সেতুও ছিল। প্রধানমন্ত্রী সিলেট সফরে এসে উদ্বোধন করবেন বলেন শেষ মুহূর্তে উদ্বোধনের তালিকায় থাকা সিলেটের কাজিরবাজার সেতুটি বাদপড়ে।
এর পর সিলেটের প্রথম ফুটওভার ব্রীজ উদ্বোধন করতে এসে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী সিলেট এসেই সেতুটির উদ্বোধন করবেন। ফুটওভার ব্রীজের নিচে কোর্ট পয়েন্টে প্রধানমন্ত্রীকে সিলেটবাসীর পক্ষ থেকে গণসংবর্ধণা দেয়ার কথাও জানিয়েছিলেন সরকারের এই জেষ্ঠ্যমন্ত্রী। তবে শেষ পর্যন্ত শেষ পর্যন্ত অর্থমন্ত্রীর সেই আশা পূর্ণ হচ্ছে না।
আগামী বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটি উদ্বোধন করবেন। সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় এই তারিখ নির্ধারণ করেছে বলে জানা গেছে।
সিলেট সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মনিরুল ইসলাম জানান, আগামী ৮ অক্টোবর কাজিরবাজার সেতুর উদ্বোধনের জন্য তারিখ নির্ধারণ করেছে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষ। প্রধানমন্ত্রী এ সেতুটি উদ্বোধন করবেন। তিনি জানান, ওইদিন সকাল ১০টায় গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কাজিরবাজার সেতুর উদ্বোধন করবেন।
প্রসঙ্গত, কাজিরবাজার ব্রিজটিকে প্রথমাবস্থায় চার লেন বিশিষ্ট ৩৬৬ মিটার দীর্ঘ এবং ১৯ মিটার প্রস্থের অত্যাধুনিক সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। প্রাথমিক নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৪৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। ২০০৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর সেতুটির ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান ও যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদা। সে সময় সেতুটির নির্মাণকাজ ২০০৭-০৮ অর্থবছরের মধ্যে সমাপ্ত করার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে সেতুটির কাজ শেষ হয়নি।
ক্ষমতার রদবদল ঘটায় ২০০৯ সালে মহাজোট সরকার কাজিরবাজার সেতু প্রকল্প সংশোধন করে। ওই সময় নগরের শেখঘাটে ঐতিহ্যবাহিনী জিতু মিয়ার বাড়ি রক্ষা করার জন্য সেতুর নকশা বদলও করা হয়। এ ছাড়া সেতুর দৈর্ঘ্য বাড়ানো হয় ২৫ মিটার। সে সময় ব্যয়ও বাড়ে। শেষপর্যন্ত নির্মাণ ব্যয় দাঁড়ায় ১৩৯ কোটি টাকা। অবশ্য এজন্য সেতুর প্রস্থ ১৯ মিটার থেকে কমিয়ে ১৮ দশমিক ৪ মিটার করা হয়।
এদিকে কাজিরবাজার ব্রিজের সঙ্গে বরইকান্দি-কামালবাজার সড়কের সংযোগ সড়ক প্রকল্পের অনুমোদন এখনো হয়নি। ডিপিইসি মিটিংয়ে প্রকল্পটি উপস্থাপিত হওয়ার পর কিছু সংশোধনের জন্য ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্র। সংশোধনের পর ফের উপস্থাপন করা হবে। সংযোগ সড়কটি নির্মাণের জন্য ৩৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। . . . . . . . . .