রাজন হত্যা: কামরুলকে ফিরিয়ে আনতে সৌদি যাচ্ছেন তিন পুলিশ কর্মকর্তা!
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ অক্টোবর ২০১৫, ৭:০৭ পূর্বাহ্ণসিলেটে শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত কামরুল ইসলামকে ফিরিয়ে আনতে সৌদি আরব যাচ্ছেন তিন পুলিশ কর্মকর্তা। পুলিশ সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তার নেতৃত্বে সিলেট মহানগর পুলিশের দুই সদস্য এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে সৌদি যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এই তিন পুলিশ সদস্য ইন্টারেপালের মাধ্যমে কামরুলকে দেশে ফিরিয়ে আনবেন।
রাজনকে হত্যার পরপরই সৌদি আরব পালিয়ে যায় প্রধান অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম। তাকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। বর্তমানে রিয়াদে আটক অবস্থায় রয়েছে কামরুল। সৌদি সরকারও তাকে ফিরিয়ে দিতে সম্মত হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে পুলিশের তিন সদস্যকে সৌদি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দফতর। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সদর দপ্তর) মাহবুবুল করিমের নেতৃত্বে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আ ফ ম নিজাম উদ্দিনকে সৌদি আরব পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
সৌদি আরর যাওয়া-আসা বাবদ প্রায় ৪ লাখ টাকা মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্ধ হয়েছে বলেও জানিয়েছে এই সূত্র।
ইতোমধ্যে রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাস ও সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে কামরুলকে ফেরানোর সমস্ত কাগজপত্র প্রেরণ করা হয়েছে। সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান এক পুলিশ কর্মকর্তা।
সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহযোগিতায় জেদ্দায় কামরুলকে আটকের পর বর্তমানে সে রিয়াদে ইন্টারপোলের হেফাজতে রয়েছে।
এ ব্যপারে সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারী উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) রহমতউল্লাহ সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সৌদি যাওয়ার একটা প্রক্রিয়া চলছে। তবে সরকার থেকে এখনো নির্দেশনা আসেনি। সিদ্ধান্ত হলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাওয়ে চুরির অপবাদে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ১৩ বছরের শিশু সামিউল আলম রাজনকে। পিটানোর দৃশ্য নিজেরাই ভিডিওচিত্রে ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয় ঘাতকরা। যে ভিডিও দেখে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
আলোচিত এই হত্যা মামলার বর্তমানে সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। সৌদি পলাতক কামরুল ইসলামসহ ১৩ জনকে আসামি করে গত ১৩ সেপ্টেম্বর মামলাটির অভিযোগ গঠন করা হয়। এদের মধ্যে ১০ জন আটক রয়েছেন। কামরুলসহ ৩ জন এখনো পলাতক রয়েছেন।
কারাবন্দি থাকা ১০ আসামীর মধ্যে ৮ জনই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। প্রত্যেকেই রাজনকে হত্যার জন্য কামরুলকে দায়ী করেছেন। কামরুলের নির্দশেই তারা রাজনকে নির্যাতনে অংশ নেন বলে সাক্ষ্য দেন অভিযুক্তরা।
গত রবিবারও আদালত চত্বরে উপস্থিত সাংবাদিকদের রাজনের বাবা শেখ আজিজুর রহমান বলেছেন, এখন পর্যন্ত কামরুল ইসলামে ফিরিয়ে না আনায় আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি। তাকে ফিরিয়ে আনা না গেলে ন্যায় বিচার সম্ভব হবে না। . . . . . . . . .