দ্রুত ওজন কমাতে ডিম না পনির!
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ অক্টোবর ২০২০, ৬:৫৭ অপরাহ্ণস্বাস্থ্য ডেস্ক
করোনা মহামারিতে লকডাউনের কারণে বাড়িতে থাকতে থাকতে বেড়েছে শারীরিক ওজন, অনেকে হয়েছেন মোটাও। অলস এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন শরীরের ওজন বাড়িয়ে দিচ্ছে। সেই সঙ্গে আছে নিয়মিত ব্যায়াম এবং ডায়েট মেনে না চলা। সবকিছু মিলিয়ে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শরীরের ওজন। কিন্তু সামনেই যে পূজা উৎসব, তাই নিজের বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তিত প্রত্যেকেই। ফলে ওজন কমানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন সবাই।
তবে খাদ্যপ্রেমী মানুষের কাছে প্রিয় খাবারগুলিকে দূরে সরিয়ে ডায়েট মেনে ওজন কমানোর ব্যাপারটা খুবই কঠিন। কিন্তু কিইবা করার আছে, পূজাতে তো নিজেকে ফিট রাখতেই হবে। তাই আপাতত মাছ, মাংস ও বাইরের ফাস্টফুড খাওয়া বন্ধ।
ওজন কমাতে অনেকেই বেছে নিচ্ছেন প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার। বিশেষ করে, সকলেরই ডায়েটে থাকছে পনির ও ডিমের ছোঁয়া। তবে ওজন কমাতে কোনটি বেশি কার্যকরী তা নিয়ে আছেন দুশ্চিন্তায়। চলুন তবে জেনে নেই ডিম না পনির-
ডিম
প্রোটিনে ভরপুর ডিমকে সুপারফুড হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। চিকিৎসকেরা একে ওজন নিয়ন্ত্রণকারী খাদ্য হিসেবেও বলে থাকেন। একটি সিদ্ধ ডিমে প্রোটিন- ৫.৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম-২৪.৬ মিলিগ্রাম, আয়রন- ০.৮ মিলিগ্রাম, সেলেনিয়াম- ১৩.৪ মাইক্রো গ্রাম ও কোলেস্টেরল থাকে ১৬২ মিলিগ্রাম। এছাড়াও পটাশিয়াম, জিঙ্ক, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়ামে ভরপুর থাকে এই প্রাণীজ খাদ্যটি।
ডিমের মধ্যে থাকা এই সমস্ত উপাদান একজন মানুষকে সুস্থ থাকতে, হাড় ও পেশি গঠনে এবং শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে অনেকেই ডিমের মধ্যে থাকা হলুদ অংশ অর্থাৎ কুসুম ডায়েট থেকে বাদ দিয়ে দেন। কারণ এতে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি থাকে।
পনির
এই দুগ্ধজাত পণ্যটি ডিমের মতোই আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পনিরে থাকা ভিটামিন, প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বস, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও রাইবোফ্লাভিন, ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
তাহলে কোনটি খাবেন আপনি?
পুষ্টিগুণের বিচারে আপনার ডায়েটে দুটি খাবারই অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। কারণ এই দুই খাবারের মধ্যে প্রোটিন ছাড়াও রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, আয়রন ও ক্যালসিয়াম, যা আমাদের শরীরকে ফিট রাখতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উভয় খাদ্যই পেশী গঠনে ও ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে।
তবে আপনার বর্তমান শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে এই দুই খাদ্য ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করবেন কি না এবং করলে তা ঠিক কতটা পরিমাণ, সে ব্যাপারে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করবেন। নিজে থেকে কোনোভাবেই সিদ্ধান্ত নেবেন না। এতে হয়তো আপনি সমস্যায় পড়তে পারেন। . . . . . . . . .