সিলেটে ৬ পুলিশ সদস্যকে বাস চাপা: গ্রেফতার ৩

সিকডে
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২:৫৮ অপরাহ্ণসিলেটে বাস চাপায় উপ পুলিশ কমিশনার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ছয়জন আহতের ঘটনায় বাস চালক, সুপারভাইজার এবং হেলপারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ও বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) পৃথক স্থান থেকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো-বাসের চালক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর থানার পৈরতলা গ্রামের মৃত কান্তি চন্দ্র দেবের ছেলে বাবুল চন্দ্র দেব (৪৯), বাসের হেলপার কুমিল্লার বুড়িচং থানার রামপুর এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে এরশাদ হোসেন (৪২) ও কুমিল্লা জেলার মৃত নিয়ামত খানের ছেলে সুপারভাইজার জয়নাল (৪০)।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই জালালাবাদ থানার এসআই মাহাবুর আলম মন্ডল বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অফিসার) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, ১৫ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার ভোরে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কের তেমুখী পয়েন্টে এসএমপি উপ পুলিশ কমিশনার (উত্তর) অভিযান পরিচালনা করছিলেন। এ সময় সুনামগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ‘রিয়েল কোচ’ নামে একটি বাস দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে এসে রাস্তার পাশে পার্কিংরত অবস্থায় পুলিশের পিকআপ ভ্যান ও পুলিশ সদস্যদের চাপা দেয়। পরে বাসটির চালক ও সুপারভাইজার পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত আজবাহার আলী শেখ, অতিরিক্ত উপ কমিশনার সাদেক কাওসার দস্তগীর, এয়ারপোর্ট থানার সহকারী (এসি) জহুরুল ইসলাম, সিলেট এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম নুনু মিয়া, উপ সহকারী পুলিশ কর্মকর্তা (এএসআই) রেজাউল করিম ও গাড়ি চালক নায়েক হাবিবুর রহমান।
পুলিশ আরও জানায়, ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে পুলিশ বাসটির হেলপার এরশাদ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয় ।পরবর্তীতে তার বর্ণনা অনুযায়ী বাসের চালক বাবুল চন্দ্র দেবকে (৪৯) হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
অপরদিকে, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় র্যাব-৯ ও র্যাব-১১ এর যৌথ অভিযানে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সুপারভাইজার জয়নাল (৪০) গ্রেফতার করা হয়।
এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অফিসার) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, বিজ্ঞ আদালতে গ্রেফতারকৃতদের তোলা হলে সেখানে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি নিয়ে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সিলেটসংবাদ/হা