৯ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানি কাল
সিকডে
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ৩:১১ অপরাহ্ণমহাসমাবেশে নাশকতার ঘটনায় রমনা মডেল ও পল্টন থানার পৃথক ৯টি মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। জামিন শুনানির জন্য বুধবার (১০ জানুয়ারি) দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার পর থেকে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালতে নাশকতার এ ৯ মামলার জামিন শুনানি হয়।
এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধুসহ ৩ হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হন। স্বাধীন দেশেও এমন বিএনপির হাজার হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
মির্জা ফখরুল ইসলামকে বহির্বিশ্বে ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে দেখে। অথচ তার নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। স্বাধীন দেশে আমরা এমন কিছু প্রত্যাশা করি না। ৯ মামলার প্রত্যেকটিতে বলা হয়েছে গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে মির্জা ফখরুল নাকি নাশকতার উস্কানি দিয়েছেন। সারা বিশ্ব জানে বিএনপি ভোটের অধিকারের জন্য লড়াই করছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম যদি আপোস করতেন- তাহলে ৭৬ বছর বয়সে তাকে এখানে আসতে হতো না। গ্রেপ্তারের পর তার ৫ কেজি ওজন কমে গেছে। তাকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্য এক তরফা যেন ভোট করা যায়। তার হৃদরোগ আছে। তাকে জামিন দেন। অতীতে তিনি জামিন নিয়ে শর্ত ভঙ্গ করেননি। এবারও করবেন না।
বিএনপির আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী শুনানিতে বলেন, তিনি বাংলাদেশের একজন জাতীয় নেতা। তিনি সাবেক মন্ত্রী ছিলেন। রাজনীতিবিদদের বাঁচতে দিন। অন্য আসামিরা যেমন জামিন পাচ্ছে। তিনি অসুস্থ ব্যক্তি, বয়স্ক ব্যক্তি। আইনে আছে তাদের জামিন দেয়া যায়। তাকে জামিন দিন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে ১০০টির মতো মামলা রয়েছে। তিনি নিয়মিত আদালতে আসেন মামলার হাজিরার জন্য। তাকে জামিন দিলে তিনি শর্ত মেনে হাজিরা দিবেন।
এদিন বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে তাকে কালো একটি গাড়িতে করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এসময় তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। তার গাড়ি আদালত চত্বরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা ফখরুলের জামিন চেয়ে মিছিল করেন।
এরআগে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। পুলিশ কনস্টেবলকে হত্যা, রাস্তায় অবৈধ জমায়েত, যানবাহন ভাঙচুর, তাণ্ডব, পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই, সম্পদের ক্ষতি, পুলিশ সদস্যদের লাঞ্ছিত এবং দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়ার অভিযোগে পল্টন থানায় ৮টি ও রমনা মডেল থানায় ৩টি মামলা দায়ের করা হয়।
এরমধ্যে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় গত ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
এর আগে মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন ঢাকার নিম্ন আদালত। এ সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে ৯ মামলায় ফখরুলের জামিন আবেদন গ্রহণ, শুনানি ও নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
রাজনীতি/হান্নান