মহানবি স. এর জীবনাদর্শই সমাজে শান্তি আনতে পারে

সোহেল মিয়া,দোয়ারাবাজার(সুনামগঞ্জ)
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৬:৩৮ অপরাহ্ণসুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীট আল মদিনা একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত সিরাত সম্মেলনে বক্তারা বলেছেন, একমাত্র মহানবি স.এর জীবনাদর্শই সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি বয়ে আনতে পারে। বক্তারা বলেন, নবীজির জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তেষট্টি বছরের জীবন অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়।
আজ ২৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত সর্বোচ্চ বৃত্তিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান আল মদিনা একাডেমি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত সিরাত সম্মেলনে বক্তারা উপরোক্ত কথা বলেন।
দোয়ারা শিক্ষা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রফিজ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিরাত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুজিবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে অন্যানদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দোয়ারা শিক্ষা ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, আলহাজ্ব খলিলুর রহমান, আলহাজ্ব আতাউর রহমান, মাওলানা মোহম্মদ আলী, জুয়েল মাহমুদ, কিশোরকন্ঠ পাঠক ফোরাম সুনামগঞ্জের উপদেষ্টা আব্দুল্লাহ আল মামুন, কিশোরকন্ঠ পাঠক ফোরাম দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিচালক হাফিজ বেলাল হোসাইন, অভিভাবক ঈসমাইল আল সানী, একাডেমির সহকারী প্রধান শিক্ষক গোলাম সামদানী সুমন, আব্দুল আলীম, দ্বিন ইসলাম,সাংবাদিক সোহেল প্রমূখ।
ট্রেজারার তোফাজ্জল হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- ডাঃ আবুল কালাম আজাদ,মকবুল হোসেন,মাওলানা সাইফুর রহমান, জবরুল আলম, আমিনুল ইসলাম, হাফিজ খলিলুর রহমান,ফরহাদ হোসেন, আবু সোলেমান, রহমত আলী, ওমর ফারুক, আব্দুল মনাফ, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
সম্মেলন চলাকালীন শিক্ষক ইয়াকুব আল হাসানের নির্দেশনায় একাডেমির শিক্ষার্থীরা একক ও যৌথভাব নাতে রাসুল স. পরিবেশন করে। দর্শক শ্রোতারা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করে অভিভূত হন। সম্মেলনে মাহে রবিউল আউয়াল উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
সিনিয়র শিক্ষক জুয়েল আহমদ ও জাবেদুল হাসানের সুনিপুণ তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি আরো বলেন, আজকের এই দিনে বিশ্ব নবি হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা স. এর আগমন নশ্বর এই ধরাধামে। তাঁর আগমনে ধন্য হয়েছিল পৃথিবী, দূর হয়েছিল অন্ধকার, মানুষ খোঁজে পেয়েছিল মুক্তি, স্বস্তি, শান্তি।
তিনি বলেন, এদিবসেই প্রিয় নবীজির ওফাত হয়। অগণিত ভক্তকূল ও অনুসারী তথা মুসলিম উম্মাহকে শোঁকের সাগরে ভাসিয়ে, কাঁদিয়ে বিদায় নেন তিনি।
তিনি বলেন, হযরত মুহাম্মদ স. ছিলেন রাহমাতাল্লিল আলামীন ও খাতামান্নাবিয়্যিন। তিনি বিশ্বনবি, সর্বশ্রেষ্ঠ নবি, সর্বশেষ নবি। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তাঁর গোটা জীবন ছিল এক মহান মিশনকে কেন্দ্র করে। সে মিশন ছিল দ্বীন প্রতিষ্ঠার মিশন।
তিনি বলেন, নবীজির জন্ম ও আগমণ ছিল অনিবার্য ও তাৎপর্যপূর্ণ। তাঁর জীবন, কর্ম ও জীবনাদর্শ ছিল সর্বশ্রেষ্ঠ। অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। তাঁর ওফাত ছিল মুসলিম জাহানের জন্য বেদনাবিধুর। রাসুল স. আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার নজির স্থাপন করে গেছেন। দ্বীন কায়েমের এপথ কুসুমাস্তীর্ণ ছিলনা। ছিল বন্ধুর, রক্তপিচ্ছিল। মাবুদের রেজাবন্দি হাসিলের জন্য ত্যাগের মহিমায় সিক্ত ছিল এ পথ। এরই ধারাবাহিকতায় শোঁককে শক্তিতে রূপান্তর করে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা ও রাসুল স. এর জীবনাদর্শকে বুলন্দ রাখতে খলিফাগণ এবং স্থলবর্তী পরবর্তী অনুসারীরা আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে কুরআনে বর্ণিত রাসূল প্রেরণের উদ্দেশ্যগুলোকে সক্রিয় বিবেচনায় রেখে এবং রাসুল স. প্রেমে উজ্জীবিত হয়ে তাঁরই জীবনাদর্শ বাস্তবায়নে আমৃত্যু প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আহবান জানান।
সারাদেশসংবাদ/হান্নান