সয়াবিনের দাম কমলেও বিক্রি হচ্ছে আগের দামে, দোকানিদের নানা অজুহাত
সিকডে
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ জুলাই ২০২২, ১২:০২ অপরাহ্ণসরকার খোলা ও বোতল উভয় পর্যায়ে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৪ টাকা কমানোর ঘোষণা দেওয়ার তিন দিন পার হলেও এখনো বাজারে আগের দরেই বিক্রি হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে দোকানিদের বড় অজুহাত হচ্ছে, বোতলে লাগানো আগের মূল্যের লেবেল। অর্থাৎ তারা এসব তেল বেশি দামে কিনেছেন বলে নতুন দামে বিক্রি করতে পারছেন না।
বাজার বিশ্লেষকরা বলেন, সরকার দাম বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাজারে তেলের দাম বেড়ে যায়; কিন্তু কমালে নানা অজুহাতে সহজে কমে না।
তেলের বোতলে নির্ধারিত মূল্যের লেবেল বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। খুচরা ব্যবসায়ীরা এই সুযোগটা নেয়। অথচ তেলের দাম বাড়লে মুহূর্তেই লেবেল ছিঁড়ে ফেলে নতুন দামে বিক্রি করে। এ অবস্থা থেকে উত্তোরণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে নজরদারি জোরদার করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
কনজিউমার অ্যাসোশিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এসএম নাজের হোসাইন কালের কণ্ঠকে বলেন, সরকার ভোজ্য তেলের দাম কমালেও বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়ছে না। এর মূল কারণ বোতলে মূল্যের লেবেল। মিল মালিকরা ও সরকার আন্তরিক হলে নতুন লেবেল দিয়ে দ্রুত বাজারে তেল সরবরাহ করা যেত। এ জন্য উৎপাদন পর্যায়ে নজরদারি বাড়াতে হবে।
ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান, ভোক্তা অধিকারের তৎপরতায় মিল মালিকরা নতুন তেল সরবরাহ শুরু করেছে। এরই মধ্যে ডিলাররাও পাইকারি পর্যায়ে নতুন দরের তেল বাজারে ছাড়ছে। আমাদের আশা দু-এক দিনের মধ্যে নতুন দরে তেল পাওয়া যাবে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মেসার্স জেনারেল স্টোরের ব্যবসায়ী মাসুদ মাহমুদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আজ (গতকাল) কারওয়ান বাজারের পাইকারি দোকানগুলোতে নতুন দামের কিছু তেল দিয়েছে একটি কম্পানি, যা চাহিদার তুলনায় খুবই কম ছিল। তবে বাজারের খুচরা দোকানে এখনো তেল দেয়নি কম্পানিগুলো। ’
এ বিষয়ে রুপচাঁদা ব্র্যান্ডের কারওয়ান বাজারের ডিলার আমির হোসেন বলেন, মিল কর্তৃপক্ষ আগামীকাল (আজ বৃহস্পতিবার) নতুন দরের তেল সরবরাহ করার কথা জানিয়েছেন। তবে এখনো আগের দরের প্রচুর তেল আমাদের কাছে মজুদ আছে। এ কারণে কাল নতুন তেল দিলেও ভোক্তা পর্যায়ে সুফল পেতে আরো দু-এক দিন লাগবে।
জাতীয়/এ