ঝটপট ইফতারে ফ্রোজেন ফুড
সিকডে
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ এপ্রিল ২০২২, ১:১৪ অপরাহ্ণদিন দিন বাড়ছে মানুষের কর্মব্যস্ততা। বদলে যাচ্ছে খাদ্যাভ্যাস। অফিস শেষে বাজার করে বাসায় ফেরা, তারপর আবার রান্না! আর রমজান এলে তো কথাই নেই। ইফতার নিয়ে আবার বাড়তি খাটুনি।
কর্মজীবী নারীর ঝক্কির জীবনে যেন স্বস্তির পরশ এনেছে ফ্রোজেন ফুড। প্যাকেটজাত রুটি, পরোটা, শিঙাড়া, সমুচা, আলুপুরি, মুরগির নানা পদ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। প্যাকেট খুলেই ঝটপট ভেজে ফেলা বা রান্না করা যায় বলে দেশে দ্রুত বাড়ছে হিমায়িত বা প্রস্তুত খাদ্যের বাজার। করোনা মহামারিতে এই খাবার আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এখন ক্রেতাদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে প্যাকেটজাত ফ্রোজেন খাদ্যপণ্য বাজারজাত করছে।
রাজধানীর বিভিন্ন দোকান ও সুপারশপে কথা বলে জানা যায়, কর্মব্যস্ততার পাশাপাশি করোনা মহামারিতে প্যাকেটজাত হিমায়িত খাবারের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। আগে এমন খাবার কেনা নিয়ে মানুষ দ্বিধায় ভুগতেন। ভালো হবে, নাকি না—এমন নানা ভাবনা আসত তাঁদের মাথায়। অথচ এখন এক দিনে যা বিক্রি হয়, তা আগে এক সপ্তাহেও হতো না।
বাজার সারাবেলা সুপারশপের ম্যানেজার মামুন মাহমুদ বলেন, ‘হিমায়িত রুটি, পরোটা, শিঙাড়া, সমুচা, চিকেন মমো, চিকেন ফ্রাই, চিকেন নাগেটস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিকেন মিটবল—এসব খাবারের চাহিদা ৪০-৫০ শতাংশ বেড়েছে। ক্রেতারাও এসব প্যাকেটজাত ফ্রোজেন খাদ্য কিনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। ’ বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, চার-পাঁচ বছর ধরেই হিমায়িত খাদ্যের বাজারে ভালো প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, বছরে গড়ে প্রবৃদ্ধি এসেছে ২০ শতাংশ করে। বর্তমানে মাংস পণ্যসহ হিমায়িত খাদ্যের বাজারের আকার এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা হবে। করোনা সেই সম্ভাবনা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে আশা করা যায়, ২০২৫ সাল নাগাদ এই বাজার দ্বিগুণ বাড়বে ।
কাজী ফুডস ইন্ডাস্ট্রিজ ২০১৪ সালে দেশের বাজারে হিমায়িত খাদ্যপণ্যের ব্যবসা শুরু করে। নিজস্ব খামারে উত্পাদিত মুরগির তৈরি বিভিন্ন আইটেমের পাশাপাশি টিজার্স, স্ট্রিপস, স্ক্রিং রোল, নাগেটস, পরোটা, পুরি, সমুচাসহ হালকা খাবারও বিক্রি করছে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের কাজী ফার্মস কিচেন আউটলেট নামের নিজস্ব বিক্রয়কেন্দ্র আছে। পাশাপাশি সুপারশপ ও সাধারণ মুদি দোকানে তাদের পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
ফ্রোজেন ফুড নিয়ে জানতে চাইলে বারডে/ম হাসপাতালের পুষ্টি বিভাগের সাবেক প্রধান ও পুষ্টিবিদ আখতারুন নাহার আলো জানালেন, ‘যেকোনো ফ্রোজেন খাবারের স্বাস্থ্য ও পুষ্টিগুণ একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বজায় থাকে। সেই সময় পেরিয়ে গেলে সেটি খাওয়া থেকে নিরুত্সাহ করি আমরা। বাজারে যেসব প্রস্তুত খাদ্য বা ফ্রোজেন ফুড বিক্রি হয় এগুলোর প্যাকেটে উত্পাদন ও মেয়াদ উল্লেখ করা থাকে। আবার এসব খাবার যাতে ভালো থাকে সে জন্য ব্র্যান্ডগুলোর নির্দিষ্ট রেফ্রিজারেটর থাকে, তদারকি করা হয়। তাই ফ্রোজেন ফুড এখন অনেকটাই নিরাপদ এবং ব্যস্ত সময়ে মানুষের জন্য স্বস্তির এক নাম। তবে এগুলো খাওয়ার সময় প্যাকেটে প্রদত্ত নিয়মাবলি অনুসরণ করে খেতে হবে। ’
স্বাস্থ্য/এ