ন্যায় সত্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ মার্চ ২০২১, ৪:৩৯ অপরাহ্ণকন্ঠ ডেস্ক:
সত্যকে সত্য জানা আর এই সত্যকে সত্ত্বায় প্রতিষ্ঠিত করা দুইটাই সত্য অন্বেষণকারীর কাজ। আমি ব্যোমকেশের সত্যবতীকে ভালোবাসি, আবার ইতিহাসের সত্যিকেও ধারণ করি। আর চারপাশের সত্যকে বরণ করি।
আপনি যে মতবাদের অনুসারী হন বা হয়ে থাকেন ওই মতবাদের সত্যতা না থাকলে তা জোর করে চাপাতে পারবেন না। আর এটা পানির ওপর তেলের আবরণের মতো ভেসে চলে যাবে, আমাদের সত্ত্বার সাথে মিলিত হবে না। আর এই পৃথিবীর অনেক সত্যের মধ্যে চিরন্তন সত্য এই জাতির জন্য শেখ মুজিবুর রহমান ৪ হাজার ৬৮২ দিন কারাবরণ করছে।
বাংলাদেশ নামটিই ওনার দেওয়া। বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার রূপ- এসবের চেয়ে বাংলার মানুষদের ভালোবেসেছেন।
এই মানুষদের ঘামে, রক্তে, চিৎকারে, আর্তনাদের ব্যাকুলতায় কেউ সাড়া দিক বা না দিক শেখ মুজিব ঠিকই এদের ঘামে নিজের ঘাম ঝরিয়েছেন আন্দোলন সংগ্রামে, এদের চিৎকারে মাঠে ময়দানে শত্রুর সামনে পিছনে চিৎকার করেছেন, এই মানুষদের রক্তের স্রোত ধারায় আর কেউ আর্তনাদ করুক না করুক শেখ মুজিবুর রহমান এই রক্তের ঋণ প্রতিটি অধিকার ফিরিয়ে শোধ করেছে।
এই পৃথিবীতে দুইটি শ্রেণী বিদ্যমান,
১. শাসক ২. শোষিত মার্ক্স বুজোয়াদেরকে বিপ্লবী বলে গেছেন আর বিপ্লবই তাদের অস্তিত্বকে বাঁচিয়ে রাখে কারণ শাসক শ্রেণী যখন শোষণের সর্বোচ্চ সীমায় অবস্থান করে তখন তারা সকল শ্রেণীর উপর হয় দেশান্তর যাত্রা (Exoduses*) না হয় ধর্মযুদ্ধ (crusades) অথবা দুটোই করে থাকে।
যেজন্য বিপ্লবীরা শাসক শ্রেণীকে তাদের সর্বোচ্চ শিখরে উঠতে দেয় না। শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনকে বিপ্লবী জীবন বললে ভুল হবে, তা ছিল সংগ্রামী জীবন। পাক-শাসকদের সর্বোচ্চ সীমানা পৌঁছোতে দেওয়াতো অনেক দূরে ধারাবাহিক অন্দোলন সংগ্রামে এদের অস্তিত্ব বিলীন হয়েছিল আর সেই ধারাবাহিক আন্দোলনকে রুখতেই ৪৬৮২ দিন জেলে বন্দী করে রাখে। ঠিক তেমনি এই সত্যকে আপনি কেক কেটে, আতশবাজি ফুটিয়ে বছরে একদিনে ধারণ করতে পারবে না। এই সত্য সত্ত্বায় আসবে যদি সত্ত্বায় ধারণ করে আর কর্মে লালন করে। কারো নাম জপলেই সেই চিরন্তন হয় না, কারণ শব্দরোধ করা যায় কিন্তু সত্যরোধ হয় না।
বরং ন্যায়সূত্র সত্যটা হলো ১৯৩৯ সালে অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুল পরিদর্শন উপলক্ষে স্কুল কর্তৃপক্ষের গৃহীত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ১৭ মার্চ গ্রেফতার হন এবং ৭ দিন হাজতবাস করেন। এর মধ্যে দিয়ে ন্যায়সূত্র সক্রিয়ভাবে শুরু হয়। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ বাংলা ভাষার দাবিতে ধর্মঘট পালনকালে শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সহকর্মীরা সচিবালয়ের গেটে গ্রেফতার হয়।প্রচণ্ড আন্দোলনের মুখে ১৫ মার্চ মুক্তি দিতে বাধ্য হয় মুসলিম লীগ সরকার।
শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়া পেয়ে ১৭ মার্চ থেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘটের আহ্বান জানান। ১১ই সেপ্টেম্বর বিশেষ ক্ষমতা আইনে আবার গ্রেফতার হন। ১৯৪৯ সালের ২১ জানুয়ারি কারাগার থেকে মুক্তি পান এবং ঢাবির ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের দাবি দাওয়া আদায়ের আন্দোলন শুরু করেন এবং আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন যার ঢাবি প্রশাসন শেখ মুজিবুর রহমানকে জরিমানা করে এবং তিনি তা প্রত্যাখান করে আর তাকে বিশ্ববিদ্যালয় হতে বহিষ্কৃত করে।এপ্রিলে ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট করার কারনে গ্রেফতার হন।জেলে থেকেই যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত হন আওয়ামী মুসলিম লীগের।
জুনের শেষের দিকে কারামুক্তি লাভ করেন কিন্তু সেপ্টেম্বরে আবার গ্রেফতার হন।অক্টোবরের শেষের দিকে লিয়াকত আলী খানের কাছে একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে যাওয়ার জন্য মাওলানা ভাসানীর সঙ্গে আবার গ্রেফতার হন। ১৯৫০ সালের ১ জানুয়ারি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানের ঢাকা আগমনের বিরুদ্ধে আওয়ামী মুসলিম লীগ ভুখা মিছিল বের করে, এই মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় আবার গ্রেফতার করে পাকিস্তানি সরকার আর এই সময় তাকে ২ বছর কারাবন্দি করে রাখে।
১৯৫২ সালের ৩০ জানুয়ারি খাজা নাজিমুদ্দিন আবার ঘোষণা করেন, ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা হবে উর্দু’। এর প্রতিবাদের জেলখানাতেই অনশন শুরু করেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গের মিছিলে সালাম, জব্বার, রফিক, বরকত, সহ অনেকেই শহীদ হয় তখন শেখ মুজিবুর রহমান জেলে আর সেই ৩০ জানুয়ারি পর থেকেই জেলে অনবরত অনশন করে আসছিল যে জন্য তাকে জেলে ফরিদপুর পাঠানো হয় স্ট্রেচারে করে।
১৯৫৪ সালের নির্বাচনে ২৩৭ টি আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২২৩ টি আসন লাভ করে। ৩০মে কেন্দ্রীয় সরকার যুক্তফ্রন্টের মন্ত্রিসভা বাতিল করেন আর ৩১ মে শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে। ২৩ ডিসেম্বর তিনি কারামুক্তি পান। ১৯৫৫ সালের ১৭ জুন ঢাকার পল্টন ময়দানের জনসভা থেকে পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন দাবি করে ২১ দফা গৃহীত হয়। ২১ অক্টোবর আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়া হয়।
১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর সামরিক শাসন জারি হয় আর ১১ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় এবং ৫ ডিসেম্বর মুক্তি পান। ১৯৫৯ সালে ৩ জানুযারি শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে ও সামরিক সরকার দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার অভিযোগ আনে তা প্রমাণিত না হওয়ায় ৩০ মে মুক্তি পান।২২শে আগষ্ট আবার গ্রেফতার হন ও ৬ বছরের জন্য শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করে ও ২ বছরের কারাদণ্ড দেয়। এই মামলার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করলে ৭ই ডিসেম্বর মুক্তিলাভ করেন।
১৯৬২ সালের ৬ ই ফেব্রুয়ারি তে জননিরাপত্তা আইনে আবার গ্রেফতার করে এবং ১৮ জুন মুক্তি লাভ করে। ১৯৬৩ সালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ৫ ডিসেম্বর লন্ডনে মৃত্যুবরণ করলে আওয়ামীলীগের দায়িত্ব তথা পূর্ব পাকিস্তানের মুক্তির আন্দোলনের একক দায়িত্ব বর্তায় শেখ মুজিবুর রহমানের উপর। ১৯৬৪ সালের ১১ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দাঙ্গা প্রতিরোধ কমিটি গঠিত হয়। আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে আবার গ্রেফতার করে।১৯৬৫ সাল শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহিতা ও আপত্তিকর বক্তব্যে প্রদানের অভিযোগের গ্রেফতার ও এক বছরের কারাদন্ড দেয়।হাইকোর্টের নির্দেশে পরবর্তীতে মুক্তিলাভ করেন।১৯৬৬ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি ঐতিহাসিক ৬ দফা লাহোরে উপস্থাপন করেন। ‘ছয় দফায়’ এই জাতির মুক্তির সনদ যে জন্য পরবর্তীতে লারাকানা ষড়যন্ত্র করে পাকিস্তানীরা।
এই ১৯৬৬ সালে শেখ মুজিবুর রহমানকে ৩ মাসে ৮ বার গ্রেফতার করে। নারায়ণগঞ্জ পাঠ শ্রমিকের জনসভায় বক্তৃতা শেষে, জন সম্মুখে গ্রেফতার করা হয় শেখ মুজিবুর রহমানকে এবং তার মুক্তির দাবিতে ৭ জুন সারা দেশে ধর্মঘট পালিত হয়। এই সময় নারায়ণগঞ্জ ও টঙ্গিতে পুলিশের গুলিতে বেশ কয়েক জন নিহত হয়। ১৯৬৮ সালের ৩ জানুয়ারি রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান (আগরতলা ষড়যন্ত্র) ১নাম্বার আসামি করে মামলা করে এবং ১৭ জানুয়ারি জেল থেকে মুক্তি দিয়ে ঢাকা সেনানিবাসে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিচারকার্য শুরু করে।
শেখ মুজিবুর রহমানসহ ৩৫ জনকে আসামি করা হয়, এর মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমানের পাশের কক্ষে সার্জেন্ট জহুরুল হককে হত্যা করা হয়। ১৯৬৯ সালে ১১ দফা দাবি পেশ করে আওয়ামী লীগের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম আর মাওলানা ভাসানী এবং সারা দেশে উত্তাল দুর্বার আন্দোলন শুরু হয়। প্রচন্ড আন্দোলনের মুখে ১লা ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমানকে প্যারুলে মুক্তি দিবে বলে ঘোষনা করে কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান প্যারুলে মুক্তি প্রত্যাখান করেন। পরবর্তীতে ২২শে ফেব্রুয়ারি মুক্তি লাভ করে এবং মামলা প্রত্যাহার করে। ২৩ ফেব্রুয়ারি সংবর্ধনায় শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করেন ছাত্র-জনতা।
৫ই ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু পূর্ব পাকিস্থানের নামকরণ করেন,‘বাংলাদেশ’।
তিনি বলেন, আমাদের আবাসভূমির নাম পূর্ব পাকিস্তান নয়, হবে ‘বাংলাদেশ’। ১৯৭০ সালের ৬ জানুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হন এবং সর্বপ্রথম জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ভাষণ শুরু করেন। ৭ ই ডিসেম্বরের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে নির্বাচনে জয়ী হন। প্রাদেশিক পরিষদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮৮ টি লাভ করে আর জাতীয় পরিষদের পূর্ব পাকিস্থানের ১৬৯ টির মধ্যে ১৬৭ টি আসন লাভ করেন।
১৯৭১ সালে রেসকোর্স জনসভায় বঙ্গবন্ধু জনপ্রতিনিধিদের শপথ গ্রহণ পরিচালনা করেন। জাতীয় পরিষদের সদস্যদের এক বৈঠকে বঙ্গবন্ধু পার্লামেন্টারি নেতা নির্বাচিত হন। ২৮ জানুযারি জুলফিকার আলী ভুট্টো বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলোচনা করতে ঢাকাতে আসেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি ইয়াহিয়া খান ৩ মার্চ ঢাকায় জাতীয় পরিষদের বৈঠক আহ্বান করেন।
১৫ ফেব্রুয়ারি ভুট্টো, দুই দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে আহ্বান জানায় যার তীব্র সমালোচনা করে বঙ্গবন্ধু ও বলেন, ভুট্টো সাহেবের দাবি সম্পূর্ণ অযোক্তিক। ক্ষমতার মালিক এখন পূর্ব বাংলার জনগণ আর আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় পূর্ব বাংলার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। ১ মার্চ ইয়াহিয়া খান অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় পরিষদ স্থগিত করেন।
২ ও ৩ মার্চ দেশব্যাপী হরতাল আহ্বান করা হয়। আর ৭ মার্চ রেসকোর্সের ময়দানে জনসমুদ্র ঐতিহাসিক ভাষন দেন, ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম,এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’ যা একটি অলিখিত ভাষণ ছিল। ২৫ মার্চ কোন ঘোষণা ছাড়াই ইয়াহিয়া খান ঢাকা ত্যাগ করেন।
২৫ শে মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে এবং পাকিস্থানের লয়ালপুরের সামরিক আদালতে বঙ্গবন্ধুর বিচারকার্য শুরু করে এবং ২ সেপ্টেম্বর ফাঁসির আদেশ দেয়। কিন্তু আর্ন্তজাতিক চাপ এবং বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে তা ব্যর্থ হয়। ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বাংলার অবিসংবাদিত নেতাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় এবং লন্ডন হয়ে ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরেন আর লন্ডনে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের সদস্যপদ দেওয়ার অনুরোধ করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি। এই জাতির অন্তঃস্থ সত্ত্বা প্রাণ পাতালের উত্তাপে আত্মপরিচয় অনুসন্ধান করার তাগিতে বাংলার ইতিহাসের স্মরণকালের সবচাইতে মহোত্তম ও ব্যাপক জনযুদ্ধটিতে ঝাপিয়ে পড়েছিল তার আবেগ সবটুকু ধারণ করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান, আর অন্য কোনো নেতা নন। যারা এই সত্য অস্বীকার করবে, তাদের সঙ্গে আমরা কোনো রকমের বিতর্ক, বাদ প্রতিবাদ করতে আমরা রাজি হব না। কারন এই সত্য অস্বীকার করার বিন্দুমাত্র উপায় নাই যদি না সে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়।
সেজন্য আহমদ ছফা বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং শেখ মুজিবুর রহমান একটি জমজ শব্দ।একটাকে বাদ দিয়ে আরেকটা কল্পনা করা যায় না।শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি।’
আজ বাংলাদেশের স্থপতির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। এই জন্ম দিনে কেইক কাটলে তার আর্দশ বাস্তবায়ন হবে না,আতশবাজি ফোটালে তা বাস্তবায়ন হবে না। যার জীবন যৌবন এই দেশের মানুষদের দিয়ে গেছেন তার আদর্শ বাস্তবায়ন হবে এই দেশের মানুষের জন্য কিছু করলে, এই দেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটলে, এই দেশের মানুষের কষ্ট লাঘব করলে, এই দেশের মানুষের অধিকারকে বাস্তবায়ন করলে বঙ্গবন্ধুকে খুঁজে পাওয়া যাবে। আর বছরে একদিন বঙ্গবন্ধুকে স্মরন করে তার আর্দশকে ধারন করা যাবে না।
সত্যকে সব সময় সত্তায় ধারণ করতে হয় আর কর্মে লালন করতে হয়। আমার কাছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক সত্য,আর আমি এই সত্যকেও ভালোবাসি, কারন আমি সত্যের অনুরাগী।
সুত্র: সময় টিভি