দেশে বিয়ের নিয়ম-কানুন

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ৮:০১ অপরাহ্ণ
লাইফস্টাইল ডেস্ক
বিয়ে শুধুমাত্র দুটি মানুষের মিলন নয়, এটি সামাজিক বন্ধনও। বিয়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয় নতুন দুটি মানুষের একসাথে পথযাত্রা। বিয়েতে যেমন বর-কনে ও পরিবারের মতামতের প্রয়োজন হয়, ঠিক তেমনি মানতে হয় দেশের কিছু আইনও। যারা বিয়ের কথা ভাবছেন, তারা অবশ্যই আগে আইনগুলো জেনে নিন-
# বিয়ের সময় আইনে বর্ণিত উপযুক্ত বয়স পাত্রের ২১ এবং কনের ১৮ বছর হতে হবে।
# এই বয়সের কম হলে ‘বাল্যবিয়ে’ বলে ধরা হবে, যা বেআইনি।
# এক পক্ষ বিয়ের প্রস্তাব দেবে, অন্য পক্ষকে তা গ্রহণ করতে হবে।
# বিয়েতে দু’জন সাক্ষী থাকতে হবে।
# বিয়ের সময় পাত্র ও পাত্রীর মুখে উচ্চারিত ‘কবুল’ শব্দটি স্পষ্ট হতে হবে এবং উভয়ে কোনো রকম চাপ বা প্ররোচণা ছাড়াই তা স্বেচ্ছায় বলবে।
# একই বৈঠকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে হবে এবং গ্রহণ করতে হবে।
# মুসলিম আইনে কোনো পক্ষেরই বিয়ের জন্য কোনো ধর্মীয় কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠান বাধ্যতামূলক নয়।
# কাবিননামায় স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য জীবনে পালনের শর্তগুলো থাকবে।
# স্বামী-স্ত্রী উভয়কেই তালাকের অধিকার উল্লেখ রাখা।
# পাত্র-পাত্রীর সামাজিক ও শিক্ষাগত মর্যাদা এবং আর্থিক সঙ্গতি বিবেচনা করে দেনমোহরের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে।
# বিয়ের প্রমাণ কাগজ-কলমে লিখে রাখাই হলো রেজিস্ট্রেশন। এটি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে লিখিত বিয়ে সংক্রান্ত দলিল, যা কাজি অফিসে সংরক্ষিত থাকে।
# মুসলিম বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন আইন, ১৯৭৪-এর ধারা-৫(৪) অনুসারে, বিয়ে নিবন্ধন না করলে এর জন্য দুই বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা ৩ হাজার টাকা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যায়।
# অনেক সময় দেখা যায় ছেলে-মেয়েরা একে অন্যকে ভালোবেসে কোর্ট ম্যারেজ করে। কিন্তু আইনে কোর্ট ম্যারেজ বলে কোনো শব্দ নেই। তাই এমন বিয়ের বৈধতাও নেই, এটি বিয়ের ঘোষণা মাত্র। . . . . . . . . .