ঝুলছে শার্ট, লাশ নিয়ে গেছে ভারতীয় পুলিশ
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ অক্টোবর ২০১৬, ৯:০৩ অপরাহ্ণঅবশেষে বেনাপোলের চেকপোস্টের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের প্রাচীরের কাঁটাতারের উপর দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে ফেলে দেয়া মরদেহটি নিয়ে গেছে ভারতীয় পুলিশ।
বুধবার রাতে ভারতের দক্ষিণ ২৪পরগনা জেলার বনগাঁ থানার পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য বনগাঁ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এর আগে বুধবার বেলা ৫টার দিকে বাংলাদেশী কৃষকরা মাঠে ঘাস কাটতে গিয়ে মরদেহটি দেখতে পেয়ে বিজিবি ও পুলিশকে খবর দেয়। কিন্তু মরদেহটি ভারত সীমানায় থাকায় বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ ওই লাশ উদ্ধার করেনি।
পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা ভারতীয় বিএসএফের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করে। এরপর মরদেহটি উদ্ধার করে ভারতীয় পুলিশ নিয়ে যায়।
ভারতের পাশ থেকে লাশটি বাংলাদেশের দিকে ফেলে দেয়ার সময় তার গায়ের শার্ট ভারতের সুসংহত চেকপোস্টের টার্মিনালের সীমানা প্রাচীরের কাঁটাতারের বেড়ায় আটকে ঝুলতে দেখা যায়।
তবে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ, চেকপোস্ট বিজিবি ও পেট্রাপোল বিএসএফ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহটির পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি।
স্থানীয়দের ধারণা উদ্ধার হওয়া লাশটি ভারতীয়। তিনি অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বিএসএফের হাতে আটক হতে পারে। বিএসএফ সদস্যরা তাকে নির্যাতনের পর হত্যা করে মরদেহটি ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তের নতুন টার্মিনালের মধ্য থেকে কাটাতারের উপর দিয়ে বাংলাদেশের দিকে ফেলে দেয়ার চেষ্টা চালায়। কিন্তু মরদেহটি ভারত সীমানার মধ্যেই পড়ে থাকে।
এ সময় তার শরীরে থাকা শার্টটি কাঁটাতারের সঙ্গে আটকে যায়। ওই এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল কম থাকায় মরদেহটি মানুষের চোখে পড়েনি। তবে লাশ দেখে ধারণা করা হচ্ছে একদিন আগে তাকে মেরে ফেলে দেয়া হয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট বিজিবি ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার নজরুল ইসলাম জানান, বিজিবির পক্ষ থেকে মরদেহটি ভারতীয় সীমান্তের অভ্যন্তরে পড়ে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর বিএসএফকে জানানো হয়। এরপর তারা বনগাঁ থানায় খবর দেন। পরে ভারতীয় পুলিশ এসে সেখান থেকে মরদেহটি নিয়ে যায়।
. . . . . . . . .