স্বপ্নের দল করতে সম্মেলনস্থলে আ.লীগের কাউন্সিলররা
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ অক্টোবর ২০১৬, ৯:১৯ পূর্বাহ্ণদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে গড়তে হবে স্বপ্নের দল। নেতৃত্ব নির্বাচনে সারা দেশ থেকে আসা কাউন্সিলররা এখন ঢাকায়। সকাল ১০টায় শুরু হবে জাতীয় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা। তার কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই দলে দলে তারা ঢুকছেন জাতীয় সম্মেলনের স্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
সকাল নয়টার মধ্যে কাউন্সিলর বা ডেলিগেটদের সম্মেলনস্থলে ঢুকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উদ্যানের চার দিকে চারটি গেট দিয়ে ঢুকছেন তারা। এ ছাড়া একটি গেট দিয়ে ঢুকবেন দেশ-বিদেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এবং একটি গেট থেকে ঢুকবেন অতি গুরুত্বপূর্ণ বা ভিভিআইপিরা।
এই সম্মেলনে কাউন্সিলর ছয় হাজার ৫৭০ জন। আর ডেলিগেট তিন গুণেরও বেশি। নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের সবাইকেই তল্লাশি করেই ঢুকতে হচ্ছে সম্মেলন স্থলে।
সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, চারটি গেট দিয়ে নেতাকর্মীরা সারিবদ্ধ হয়ে সম্মেলনস্থলে ঢুকছেন। দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন সবাইকে তল্লাশি করে ভেতরে ঢোকাচ্ছেন। ভেতরে প্রবেশের সময় কাউকে মোবাইল ফোন ও ব্যাগ নিয়ে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। প্রতিটি গেটের বাহিরে নেয়া হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবক। নেতাকর্মীদের পদভারে পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকা মুখরিত হয়ে উঠেছে।
সকাল সাড়ে আটটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রায় সাত হাজারের মতো নেতাকর্মী সম্মেলনস্থলে ঢুকেছেন। মঞ্চের সামনে বিশাল প্যান্ডেলে অধিকাংশ কাউন্সিলর চেয়ারে আসন গ্রহণ করেছেন।
মঞ্চের সামনের চেয়ারগুলো বিদেশি অতিথিদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। ১২টি দেশের ৫৫জন অতিথি সেখানে আসন গ্রহণ করবেন। মূল মঞ্চে অবস্থান করবেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সিনিয়র নেতারা। সকাল ১০টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসার পরই শুরু হবে ঐহিত্যবাহী দলটির দুই দিনব্যাপী ২০তম জাতীয় সম্মেলন।
এবারের জাতীয় কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের স্লোগান হচ্ছে, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছি দুর্বার। এখন সময় বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার’।
সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশন ২৩ অক্টোবর রবিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে। সর্বশেষ কাউন্সিল অধিবেশনে নতুন কার্যনির্বাহী সংসদ নির্বাচন করা হবে। এসময় কমিটি নির্বাচনের কার্যক্রম পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। তিন সদস্যের এ কমিশনের সদস্যরা হলেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, ড. মশিউর রহমান এবং সাবেক সচিব রশিদুল আলম।
উদ্বোধনী অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ, বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এছাড়াও দেশের কূটনীতিক, রাষ্ট্রদূত, খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবী এবং সাংবাদিকরাও আমন্ত্রণ পেয়েছেন।
দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতা, কাউন্সিলর, প্রতিনিধি, দেশি-বিদেশি অতিথি ও শুভানুধ্যায়ী মিলে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষের আগমন আশা করা হচ্ছে।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন রোজ গার্ডেনে জন্ম আওয়ামী লীগের। এখন ঐতিহ্যবাহী এই দলটির বয়স ৬৭ বছর। এ পর্যন্ত দলটির ১৯টি জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ১৯তম জাতীয় সম্মেলন ২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হয়।
. . . . . . . . .