কানাইঘাটে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, গ্রেফতার ৩
![](https://sylheterkantho.net/img/icon.jpg)
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১০:৩৬ অপরাহ্ণ![কানাইঘাট](http://sylheterkantho.com/wp-content/uploads/2016/09/কানাইঘাট.jpeg)
এব্যাপারে পুলিশ ও ভিকটিমের স্বজনদের কাছ থেকে জানা যায়, গত সোমবার সকালে শিশুটি প্রতিদিনের ন্যায় এরালীগুল জামে মসজিদ মক্তবে নামায ও কুরআন শিখতে যায়। সকাল ৯টার দিকে মক্তব ছুটি হলে তার সহপাঠির সাথে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে ইমাম উদ্দিনের বাড়ীর উত্তর পাশের্^ আসামাত্র বড়খেওড় গ্রামের আবুল আহমদ, হোসেন আহমদ ও নারাইনপুর গ্রামের মস্তাক আহমদ সুলতানা বেগমকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
লোকমুখে এ ঘটনার খবর পেয়ে ভিকটিমের ভাই তার বোনকে উদ্ধার করতে ইমাম উদ্দিনের বাড়ীতে গেলে তারা জানায়, তার বোন সহপাঠির সাথে অন্য বাড়ীতে বেড়াতে গেছে। ফিরে এলেই বাড়ীতে পৌঁছিয়ে দিবে। কিন্তু সারাদিন অপেক্ষার পরও সে ফিরে না আসায় ভিকটিমের স্বজনরা গ্রামের লোকজনকে নিয়ে ইমাম উদ্দিনের বাড়ীতে সন্ধানে গেলে বাড়ীর লোকজন নানা রকম টাল বাহানা করতে থাকে।
পরবর্তীতে স্থানীয় ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মজির উদ্দিনকে সাথে নিয়ে বুধবার তাদের বাড়ীতে গেলে দেখা যায় বাড়ীর সব দরজা জানালা তালাবদ্ধ রয়েছে এবং বাড়ীতে কোন লোকজন নেই। এ বিষয়টি কানাইঘাট থানা পুলিশকে অবহিত করলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবিরের নেতৃতে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ইমাম উদ্দিনের টিলা বাড়ীর পাশর্^বর্তী অপর একটি টিলার উপর থেকে শিশুটির মাটি চাপা দেওয়া লাশ উদ্ধার করে এবং ঘটনার সাথে জড়িত এরালীগুল গ্রামের আবুল আহমদ (২৫), রাসেল (২৫) ও ছাদেক হোসেন (২৬) কে গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, গ্রেফতারকৃতরা ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে যে, তারা তিন জন ও তাদের অপর এক সহযোগী পালাক্রমে ধর্ষণ শেষে শিশুটিকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর টিলার পাশে লাশ মাটিচাপা দিয়ে রাখে। নির্মম এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।
. . . . . . . . .