কিছুই থাকবে না, কোনো অর্জনই টিকবে না: খালেদা জিয়া
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ জুলাই ২০১৬, ১:৫৫ পূর্বাহ্ণডেস্ক রিপোর্ট : গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় বিএনপি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন উল্লেখ করে বেগম জিয়া বলেছেন, ‘ভবিষ্যতে আমরা কেউ হয়তো থাকব না। দেশ থাকবে, জাতি থাকবে। সেই দেশ ও জাতির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ আজ বিপন্ন। আমরা যাই বলি, আমাদের কিছুই থাকবে না, কোনো অর্জনই টিকবে না- যদি না আমরা সন্ত্রাস দমন ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারি।’
রোববার বিকেল সাড়ে ৪টায় চেয়ারপারমনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশ আজ সন্ত্রাসের বিষাক্ত ছোবলে জর্জরিত উল্লেখ করে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দাবি করে বলেছেন, ‘শুক্রবার রাতের ঘটনায় শুধু গুলশানের একটি রেস্তোরা নয়, সারা বাংলাদেশ আক্রান্ত হয়েছে। এটা (সন্ত্রাস) আমাদের জন্য নতুন এক ভয়াবহ জাতীয় সঙ্কট।’
গুলশানে হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসী হামলায় আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা ও ত্রুটি এবং সন্ত্রাসীদের সামর্থ্য প্রকটভাবে ফুটে উঠেছে বলেও মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, ‘মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিন, মন্দিরের পুরোহিত, ধর্মগুরু ও যাজক, ভিন্ন মতের লেখক প্রকাশক-ব্লগার, খেটে-খাওয়া শ্রমজীবী মানুষদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হচ্ছে। ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে সযত্নে লালিত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য। কোথাও কেউ নিরাপদ নয়। এই আতঙ্ক, এই হত্যালীলা থামাতে হবে। বন্ধ করতে হবে রক্তপাত। সবাইকে একতাবদ্ধ হতেই হবে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘কাল বিলম্ব না করে আসুন আমরা সব ভেদাভেদ ভুলে দলমত নির্বিশেষে সন্ত্রাস বিরোধী ঐক্য গড়ে তুলি। শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলি।’
বেগম জিয়া বলেন, ‘স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি পদক্ষেপের মাধ্যমে এইসব ঘটনার কারণগুলো দূর না করলে সমাজ থেকে সন্ত্রাস নির্মূল করা যাবে না। জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া এ ধরনের জাতীয় সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। কেবল গণতান্ত্রিক পরিবেশই জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হতে পারে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব আসম হান্নান শাহ, বারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনের আগে দলের নীতি নির্ধারকদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। . . . . . . . . .