এবার গাজীপুরে মুক্তিযোদ্ধা খুন, আহত ৩
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ এপ্রিল ২০১৬, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণগাজীপুর সিটি করপোরেশনের সালনা কাথোরার মৈশানবাড়ি এলাকায় সন্দেহভাজন ডাকাতের গুলিতে পরেশ চন্দ্র ঘোষ (৬৫) নামে এক মুক্তিযোদ্ধা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই ও দুই ভাতিজাও আহত হয়েছেন।
কিছুদিন আগে কুড়িগ্রাম শহরের গাড়িয়াল পাড়ায় হোসেন আলী (৬৮) নামে এক ধর্মান্তরিত খ্রিস্টান মুক্তিযোদ্ধাকে গলাকেটে হত্যা করেছিল দুর্বৃত্তরা। এবার সন্দেহভাজন ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল সত্তেরোর্ধ্ব এক মুক্তিযোদ্ধার।
রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে এ বর্বর ঘটনা ঘটে। আহতদের গুরুতর অবস্থায় গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন : নিহত পরেশের ভাই নরেশ চন্দ্র ঘোষ (৬০), ভাতিজা বিধান কৃষ্ণ ঘোষ (৩২) ও মৃণাল চন্দ্র ঘোষ (২৮)।
গাজীপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার এস এম মুজিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেছেন, পরেশ মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি গাজীপুর সদর থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সহকারী কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধ পরেশ চন্দ্র ঘোষ স্থানীয় যোগেশ চন্দ্র ঘোষের ছেলে। তিনি সালনা বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করতেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রাতে ৮ থেকে ১০ জনের মুখোশপরা একদল ডাকাত নরেশ চন্দ্র ঘোষের বাড়ির প্রধান দরজার তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। প্রথমে নরেশ, বিধান ও মৃণালকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে স্বর্ণালঙ্কার ও মালামাল লুটে নেয়। পরে নরেশের ভাই পরেশ চন্দ্র ঘোষের ঘরেও হানা দেয়। এ সময় পরেশের ছেলে গৌতম ঘোষ পলাশ ডাকাতদের চিনে ফেলেছে বললে ডাকাতরা গুলি ছোড়ে। গুলি পরেশ চন্দ্রের কপালে লাগলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।
জয়দেবপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পরিমল বিশ্বাস জানান, লাশ উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনাটি খুন ও ডাকাতি বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
. . . . . . . . .