১৭ এপ্রিল ফের খালেদা জিয়া-তারেকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ এপ্রিল ২০১৬, ২:১১ অপরাহ্ণডেস্ক রিপোর্ট :: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৬ বিবাদীর বিরুদ্ধে ড্যান্ডি ডায়িং ঋণখেলাপি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। আগামী ১৭ এপ্রিল অসমাপ্ত সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার (০৩ এপ্রিল) প্রথম সাক্ষী হিসেবে আংশিক সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। পরে বিবাদীপক্ষের সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি করেন ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতের বিচারক ফাতেমা ফেরদৌসের আদালত।
সোনালী ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম ও অ্যাডভোকেট হোসনে আরা বেগম সাক্ষ্যগ্রহণে সহায়তা করেন।
বিবাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান আদালতে হাজির ছিলেন।
গত ০২ ফেব্রুয়ারি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৬ বিবাদীর বিরুদ্ধে ইস্যু গঠন করেন আদালত।
সোনালী ব্যাংকের দায়ের করা ৪৫ কোটি টাকা খেলাপিঋণের এ মামলাটির বিবাদী ছিলেন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো। তিনি মারা যাওয়ায় খেলাপিঋণ দেওয়ানি কর্মবিধি আইনের ২২নং আদেশের নিয়ম ৪ অনুসারে তার সম্পদের ওয়ারিশ হিসেবে তার মা খালেদা জিয়া, স্ত্রী শর্মিলা রহমান এবং দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে বিবাদীভুক্ত করেছেন আদালত। কোনো ছেলে না থাকায় বড় ভাই তারেক রহমানও কোকোর সম্পদের ওয়ারিশ। তবে তারেক এ মামলায় আগে থেকেই বিবাদী।
মামলার অন্য বিবাদীরা হলেন- ড্যান্ডি ডায়িং লি., প্রয়াত সাঈদ এস্কান্দারের ছেলে শামস এস্কান্দার ও সাফিন এস্কান্দার, মেয়ে সুমাইয়া এস্কান্দার, স্ত্রী নাসরিন আহমেদ, তারেক রহমান, গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, মামুনের স্ত্রী শাহীনা ইয়াসমিন, কাজী গালিব আহমেদ, শামসুন নাহার ও মাসুদ হাসান।
মামলার ১০ নম্বর বিবাদী মোজাফফর আহমেদ মারা যাওয়ায় তার স্ত্রী শামসুন্নাহার ও ছেলে মাসুদ হাসানকে এ মামলায় বিবাদীভুক্ত করা হয়।
২০১৩ সালের ০২ অক্টোবর ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে মামলাটি করেন সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগে এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
পরদিন ০৩ অক্টোবর মামলাটি মধ্যস্থতা করার জন্য অ্যাডভোকেট আব্দুস সালামকে মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করেন বিচারক। কিন্তু দীর্ঘদিনেও কোনো মধ্যস্থতা না হওয়ায় বিচারক মামলাটিতে ইস্যু গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।
কিন্তু বিবাদীপক্ষে এ মামলাটির কার্যক্রম চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। ফলে মামলাটির ইস্যু গঠন পিছিয়ে যায়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিবাদীরা ড্যান্ডি ডাইংয়ের পক্ষে ১৯৯৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সোনালী ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করেন। ওই বছরের ৯ মে সোনালী ব্যাংক বিবাদীদের আবেদনকৃত ঋণ মঞ্জুর করে।
২০০১ সালের ১৬ অক্টোবর বিবাদীদের আবেদনক্রমে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সুদ মওকুফ করেন। এরপর ঋণ পুনঃতফসিলিকরণও করা হয়।
কিন্তু বিবাদীরা ঋণ পরিশোধ না করে বারবার কালক্ষেপণ করতে থাকেন।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, ২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য চূড়ান্ত নোটিশ প্রদান করা হলেও বিবাদীরা কোনো অর্থ প্রদান করেননি।
. . . . . . . . .