তনুর ভাইয়ের বন্ধুকে ‘র্যাব পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার’ অভিযোগ
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ এপ্রিল ২০১৬, ১২:৩৮ অপরাহ্ণকুমিল্লায় ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যার ঘটনার পর গত পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে মিজানুর রহমান সোহাগ (২০) নামে এক তরুণ। নিখোঁজ এই তরুণ নিহত তনুর ছোট ভাই আনোয়ার হোসেনের বন্ধু।
সোহাগের পরিবারের অভিযোগ, তাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র্যাব) পরিচয় দিয়ে সাদা পোশাকে আসা কয়েক ব্যক্তি ডেকে নিয়ে গেছে। সেই থেকে সোহাগ র্যাবের হাতে আটক রয়েছেন বলে দাবি করেছেন তার বাবা নুরুল ইসলাম।
শনিবার বিকেলে কুমিল্লা প্রেসক্লাবে হাজির হয়ে সাংবাদিকদের কাছে নুরুল ইসলাম এ দাবি করেন।
সোহাগের বাবা জানান, ২৭ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাস সংলগ্ন বুড়িচং উপজেলার নারায়ণসার গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে সাদা পোশাকের একদল লোক সোহাগকে ডেকে নিয়ে যায়। ৩০ মার্চ বুড়িচং থানায় সোহাগের পরিবারের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় বুড়িচং থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করা হয়।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নুরুল ইসলাম বলেন, ‘তনু হত্যার খবর টেলিভিশনে দেখে তনুর ভাইকে ফোন করেছিল সোহাগ। তখন তনুর ভাইয়ের ফোন বন্ধ ছিল। এরপর তনু হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে এলাকার তরুণদের সংগঠিত করেন সোহাগ। এরপর বিক্ষোভ ও মানববন্ধনের আয়োজন করেন তিনি। এসব কারণেই সোহাগকে র্যাব তুলে নিয়ে গেছে।’
‘নিখোঁজ’ সোহাগের বাবা দাবি করেছেন, তনু হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভের ঘটনার পর থেকে আশপাশের এলাকার অনেক যুবককেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে। তবে তাদের অনেকেই ফিরেও এলেও আসেনি আলেকজান মেমোরিয়াল কলেজের ছাত্র সোহাগ। তাকে সাদা পোশাকধারীরা তুলে নেওয়ার চতুর্থ দিনে থানায় ডায়রি করেন তিনি। পুলিশ সুপারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেকের সঙ্গে পরে যোগাযোগ করেছেন। কেউ ছেলের কোনও খোঁজ দিতে পারেননি।
বুড়িচং থানার ওসি জানান, ছেলেকে পাওয়া যাচ্ছে না দাবি করে সাধারণ ডায়রি করেছেন সোহাগের বাবা। কিন্তু এতে তনু হত্যায় র্যাব আটক করেছে এমন কোনও কথা উল্লেখ তিনি করেননি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সোহাগকে আটকের কথা অস্বীকার করেছেন র্যাব-১১ কুমিল্লা ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-২ এর অধিনায়ক মেজর খুরশিদ আলম। তিনি জানান, আমরা তনুর ঘটনায় সোহাগ নামে কাউকে আটক করিনি।
. . . . . . . . .