ইসলামী ব্যাংক এখন জনগণের কল্যাণে কাজ করবে : প্রধানমন্ত্রী
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ মার্চ ২০১৬, ৬:২৭ অপরাহ্ণডেস্ক:
অতীতে জামায়াতে ইসলামীর মাধ্যমে পরিচালিত হলেও সরকারি কিছু পদক্ষেপের কারণে ইসলামী ব্যাংক এখন ভিন্নভাবে পরিচালিত হবে। এমন ইংগিত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ব্যাংকটি এখন জনগণের কল্যাণে কাজ করবে।
মঙ্গলবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলামে জঙ্গিবাদ- সন্ত্রাসের স্থান নেই এই শিক্ষা প্রতিটি মানুষের মাঝে পৌঁছে দিতে হবে।
কোরআনের আলো ঘরে ঘরে ছড়িয়ে দিতে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হবে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ পবিত্র কোরআন। কোরআন শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষার্থীদের মাঝে সেই পবিত্র কোরআন তুলে দিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৪১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, জাতীয় খতিব সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী ইসলাম প্রচার ও প্রসারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেয়া নানা উদ্যোগ তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন বঙ্গবন্ধুর অবদান।
বলেন, ১৯৭৪ সালে মুসলমানদের যে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং এর জন্য যে আইডিবি চার্টার, সেই চার্টারে সাক্ষর করে যান। যদিও তার শাহাদত বরণের পর ইসলামিক ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয় কিন্তু এটা ব্যবহার করে যারা তখন ক্ষমতাসীন ছিলো তারা এবং তাদেরই ছত্রছায়ায় যুদ্ধাপরাধী জামাতীরা। এবং এই ব্যাংকের টাকা জনগণের কল্যাণে যতটা না ব্যয় হয় তারচেয়ে বেশি ব্যয় হয় তাদের নিজেদের ভাগ্যোন্নয়ন আর অপকর্মের জন্য। যাই হোক, এখন আমরা কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি, এখন আবার ইসলামিক ব্যাংক জনগণের কল্যাণে কাজ করবে।
ধর্মীয় শিক্ষার প্রসার, হজ্জ ব্যবস্থাপনা, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উন্নয়নের মতো বিভিন্ন কাজের উদাহরণ দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ইসলামের নাম ভাঙিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা যতটা করেছে কিন্তু ইসলামের প্রচার ও প্রসারে কোনো চেষ্টাই তারা করেনি। বরং জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের কাজের তাদের বেশি মন ছিলো। ইসলাম কখনোই বোমাবাজি বা সন্ত্রাসকে বরদাস্ত করে না। কিন্তু আমাদের এই ধর্মটাকে এই ধরনের কর্মকাণ্ডের মধ্যে দিয়ে যারা সারা বিশ্বের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করে তারা সত্যিকারের ইসলামে বিশ্বাস করে কিনা সেটাই আমার বিশ্বাস হয়না। আপনারা দয়া করে দেখবেন, এটাই আমরা চাই, বিশেষ করে আমাদের ধর্ম যেটা শান্তির ধর্ম সেটাকে বিপথে ঠেলে দিয়ে এই ধর্মের নামে যেন কেউ কুৎসা রটাতে না পারে।
আগামীতে কেউ যেন নাশকতা ও অগ্নিসন্ত্রাস করতে না পারে সে ব্যাপারে সহযোগিতার হাত বাড়াতে আলেমদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
. . . . . . . . .