অবশেষে ইলিয়াস আলীকে ভুলে গেলেন খালেদা জিয়া!
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ মার্চ ২০১৬, ১১:৪৪ অপরাহ্ণবিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের সাংগঠনিক রিপোর্টের ওপর আলোচনা করতে গিয়ে সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, ‘আজকে আমরা যে আলোচনা করছি, যেমন ভাবে নেতারা সামনে বসে আছেন। ঠিক তেমনি আরও একটি অনুষ্ঠানে ইলিয়াস আলীর মতো নেতার দরকার ছিল। কিন্তু আজকে ইলিয়াস আলীর মতো নেতার নাম কেউই নেননি।’ শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের দ্বিতীয় অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কাউন্সিলের উদ্বোধনী ভাষণে শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেখ মুজিবুর রহমানসহ মরহুম জাতীয় নেতাদের অবদানের কথা স্মরণ করেন। এরপর দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান খালেদা জিয়া।
এছাড়া দলের দীর্ঘ সংগ্রামের পথে যারা জীবন দিয়েছেন, আহত ও নিহত হয়েছেন, মিথ্যা মামলায় কারাবরণ করেছেন, সীমাহীন হয়রানির শিকার হয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, নানাভাবে ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাদের প্রতিও আন্তরিক সমবেদনা ও সম্মান জ্ঞাপন করেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় অধিবেশনে দুলু তার ভাষণে বলেন, ‘সরকার ইলিয়াস আলীকে কোথায়, কীভাবে রেখেছে তা আমরা জানি না। তিনি বেঁচে আছেন না মরে গেছেন তাও জানি না।’
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে দুলু বলেন, ‘যারা দলের সঙ্গে বেঈমানি করেছে, বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তাদের বিচার করতে হবে। যারা ১৫ দিনের মধ্যে সরকার পতন ঘটনার কথা আপনাকে যারা বুঝিয়েছিল। আন্দোলনের পর তারা মাঠে তো ছিলই না, এমনকি তাদের মোবাইলও বন্ধ ছিল। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের আগে-পরে যে আন্দোলন হয়েছিল, স্বাধীনতার পর এমন আন্দোলন আর হয়নি। অথচ আন্দোলনের কোনো ফল পাওয়া যায়নি। কারণ, আন্দোলেন ডাক দিয়ে নেতাদের অনেকে ফোনও বন্ধ করে রেখেছিল। সে সব নেতাদের সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।’
খালেদাকে উদ্দেশ করে তিনি আরো বলেন, ‘আপনি টিমের ক্যাপ্টেন, আপনি খেললে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারেন। শাসকদের উচ্ছেদ করার খেলায় যাদের দরকার তাদের এই টিমে নিতে হবে।’ প্রয়োজনে সময় নিয়ে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নেয়ার আহ্বান জানান তিনি। পদ নিয়ে কেউ যেন ব্যবসা করার সুযোগ না পায় সেজন্য খেয়াল রাখার আহ্বানও জানান রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল রাজধানীর বনানী থেকে গাড়িচালক আনসার আলীসহ অপহরণের শিকার হন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য এবং দলের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা তার গাড়ি উদ্ধার করে বনানী থানার পুলিশ। দু’বছরে তদন্তের পর মাইক্রোবাস ও জিপ নিয়ে আসা একদল লোক ইলিয়াস আলীকে শুধু তোলে নিয়ে যাওয়ার কথাই গণমাধ্যমকে জানায় তদন্ত কমিটি। এরপর এখন পর্যন্ত জীবিত বা মৃত তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
. . . . . . . . .