র্যাবের অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি রাকেশ আস্থানা
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ মার্চ ২০১৬, ১০:৫১ পূর্বাহ্ণজালিয়াতের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় র্যাবের তদন্ত দলের অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে ঘাম ঝড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সদ্য নিয়োগ পাওয়া আইটি কনসালটেন্ট রাকেশ আস্থানার। তদন্ত দলের করা অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি তিনি। কিছু তথ্যের জন্য র্যাবের কাছে সময় চেয়েছেন আস্থানা। তদন্ত দলের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ভারতের নাগরিক রাকেশ আস্থানার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান হল ওয়ার্ল্ড ইনফোরমেটিক্স। তদন্ত কাজে এ প্রতিষ্ঠানই প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পায়। পরে নিয়োগ করা হয় ফায়ার-আই নামক প্রতিষ্ঠানকে।
এদিকে র্যাবের তদন্তের সঙ্গে অনেক প্রতিষ্ঠানের দেওয়া তথ্যে দেখা দিয়েছে প্রচুর অসঙ্গতি। বিষয়গুলো ক্রস-জাস্টিফাই করে দেখা হচ্ছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১০ কোটি অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি তদন্ত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে র্যাব।
রোবার বিকেল ৩ টার দিকে র্যাবের এডিশনাল ডিআইজি কর্নেল জিয়াউল আহসানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ব্যাংকে যায় র্যাবের প্রতিনিধি দল। এসময় তাদের সঙ্গে ছিলো আইটি এক্সপার্ট।
তদন্ত দলের একজন বলেন, আমরা কিছু ফাইন্ডিং পেয়েছি। বিদেশি(রাকেশ আস্থানা) এক্সপার্টের কিছু ইনফরমেশনের সঙ্গে ক্রস চেক করা হচ্ছে। ক্রস বর্ডার হওয়ায়, কিছুটা সময় লাগবে। তবে, বিষয়টি শীঘ্রই জানা যাবে। এখন পর্যন্ত তিনজন ব্যক্তির আইডি ব্যবহার করে এ কাজ করা হয়েছে। আমরা সুপারিশ দিব, ব্যাংক কি সিদ্ধান্ত নেয়-এটা তাদের ব্যাপার।
র্যাবের দলটি বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে। তারপরে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনে ব্যবহৃত ব্যাক অফিসের কম্পিউটার রুমে যান। কম্পিউটারটি হ্যাকড হয়েছে এমন তথ্য দেন রাকেশ আস্থানা। তার স্বপক্ষে কিছু তথ্য-উপাত্ত ও যুক্তি উপস্থাপন করেন তিনি। এসময় র্যাবের তদন্ত দল জানতে চায়, এত প্রফেশনাল সফটওয়্যারে ম্যালওয়ার ঢুকল কিভাবে। কম্পিউটার চালু হল কিভাবে, পাসওয়ার্ড দেওয়া হল কিভাবে, পাসওয়ার্ড জানল কিভাবে, কে কে এই কম্পিউটার ব্যবহার করেছে এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে এর কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি আস্থানা। এসময় তিনি তদন্ত দলের কাছে সময় চেয়েছেন।
এসময় কম্পিউটার ব্যবহারের হিস্টোরি না পাওয়ার কারণ, কেন তথ্য মুছে গিয়েছে তার কোন উত্তর পায়নি তদন্ত দল।
র্যাবের দলটি সুইফট কোডের মাধ্যমে কিভাবে ফেডারেল রিজার্ভের লেনদেন করা হয় সে বিষয়ে ধারণা নেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট এন্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেন দলটি।
. . . . . . . . .