রতনে রতন চিনে – ইষ্টিমারে সারাং চিনে,আদু ভাইয়ে আদু আর চিংড়ি মাছে কদু!!
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ মার্চ ২০১৬, ১২:২২ অপরাহ্ণ“রতনে রতন চিনে – ইষ্টিমারে সারাং চিনে,আদু ভাইয়ে আদু আর চিংড়ি মাছে কদু!”-কথাটি আমাদের নয়,সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদকের(বিদ্রোহী)।শেষ পর্যন্ত নিজেদের পথেই হাটলো সিলেট জেলা ছাত্রদল।ছাত্রদলের বর্তমান কমিটি আসার পর থেকেই একের পর এক দূর্নাম যেনো পিছুই ছাড়ছেনা ।দূর্নামের পরিমান এতোই বেড়ে গেছে যে এখন আর এইগুলা তাদের গায়েই লাগছেনা।যার প্রতিফলন ঘটলো গতকালের ঘোষিত সিলেট সদর উপজেলা ছাত্রদলের কমিটিতে।গতকাল সন্ধ্যায় সিলেট জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাঈদ আহমেদ সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপত্তিতে দেখা যায় যে আ ফ ম কামাল কে আহবায়ক এবং মুরাদ হোসেন কে সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক করে সিলেট সদর উপজেলা ছাত্রদলের ৮১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।
এরপর থেকেই ক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে মাঠপর্যায়ের ছাত্রদল এবং ভার্চুয়াল মিডিয়া।সবার ক্ষোভ যেনো আ ফ ম কামালকে ঘিরেই।বিগত দিনগুলাতে যিনি ছিলেন একদমই মাঠের বাইরে।বর্তমান প্রজন্মের কাছে তিনি একদমই অপরিচিত।খোজ নিয়ে যানা যায় যে,১২ বছর আগের সিলেট জেলা কমিটিতে তিনি ছিলেন প্রচার সম্পাদক,১৯৯৯ সালে গঠিত সদর উপজেলা ছাত্রদলের ছিলেন সভাপতি,যার বয়স একদম কম হলেও ৪৫!
সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রউফের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন-“সিলেট ছাত্রদলকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত সেই কুচক্রী মহল আবারো সক্রিয় হচ্ছে।যার ধারাবাহিকতায় নিষ্ক্রিয়,অযোগ্য আদু ভাইদের দ্বারা আজ সদর উপজেলা কমিটি গঠিত হলো।বুড়ো আংগুল দেখানো হলো যোগ্য,সক্রিয়,নির্যাতিত,পরীক্ষিত নেতা কর্মীদের”।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা ছাত্রদলের এক নেতা বলেন-“মাঠে না থেকেও আফম কামাল, সাঈদ আহমদকে এমন কি দিলেন যে বিতর্কিত হবেন যেনেও কমিটি অনুমোদন দিলেন?”
বিভিন্ন সূত্র জানা যায় নতুন কমিটির অনেকেই আজ পদত্যাগ করতে পারে এবং পাল্টা কমিটি ঘোষিত হতে পারে।ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ঠিক আগে সদর উপজেলা ছাত্রদল এখন কতটা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারে তাই এখন দেখার বিষয়। . . . . . . . . .