‘একটু ছাড় দেন, কীভাবে রাজনীতি করব’
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১০:২৪ পূর্বাহ্ণইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শরিকদের সঙ্গে বিএনপির কোনো সমন্বয় না থাকা এবং ‘ছাড় না দেওয়ার মানসিকতা’য় আক্ষেপ করছেন দলগুলোর নেতারা। সেজন্য জোটের সমন্বয়ক ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে জোটের এক নেতা তার অসহায়ত্বের কথা বলেছেন এভাবে, ‘আমাদেরও তো দু/এক জায়গায় প্রার্থী আছে। একটু ছাড় দেন। না দিলে রাজনীতি করব কীভাবে?’
শুক্রবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে জোটের মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠকের এক পর্যায়ে এই ধরনের কথা উঠে আসে।
পৌরসভায় ছাড় না পেলেও অন্তত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দু/একটি আসনে নিজেদের দলসমর্থিত প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দিতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করলেও এখন সেই আশাটুকুও দেখতে পারছেন না ২০ দলীয় জোটের শরিকরা। এ নিয়ে মনোক্ষুণœ হয়ে মহাসচিবদের বৈঠকে উপস্থিত হয়নি জামায়াতে ইসলামী, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পাটি-এলডিপি, মুসলীম লীগ, সাম্যবাদী দল।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগে শুক্রবারের বৈঠকের কোনো কারণ দেখছেন না জোটের অনেক নেতা। অনেকের মতে, মুল এজেন্ডা হওয়ার কথা থাকলেও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চেয়ে অন্য প্রসঙ্গে কথা বলে দ্রুত বৈঠক শেষ করে দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, শুরুতে জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান ইউপি নির্বাচনের জোটের সমন্বয় করার কথা বলেন। এরপর ন্যাপ ভাসানীর গোলাম মোস্তফা আকন্দ বলেন, ‘নির্বাচনে আমাদের একটু ছাড় দেন।’
তার কথা কেড়ে নিয়ে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, ‘মহাসচিব, আমাদেরও তো দু/এক জায়গায় প্রার্থী আছে। একটু ছাড় দেন। না দিলে রাজনীতি করব কীভাবে?’
এর জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা নাম দেন। এ নিয়ে চেয়ারপারসনের সঙ্গে কথা বলব।’
এদিকে শুক্রবার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে মহাসচিবদের বৈঠকের কথা থাকলেও এতে তিনটি দলের দলীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। এ নিয়ে বৈঠকটি দৃষ্টিকটূ দেখা যায় বলে অনেক শরিক নেতার মত। আবার কোনো দলের দুজন করেও সদস্য বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মোস্তাফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (বাংলাদেশ ন্যাপ) ঢাকা মহানগর নগর সাধারণ সম্পাদক শহীদুন্নবী ডাবলু, ইসলামী ঐক্যজোটের (একাংশ) মহাসচিব মাওলানা আবদুল করিম, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল মতিন সাঈদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যার মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, খেলাফত মজলিশের মহাসচিব আহমেদ আব্দুল কাদের, পিপলস লীগের সৈয়দ মাহবুব হোসেন, ন্যাপ ভাসানীর গোলাম মোস্তফা আকন্দ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মহিউদ্দিন ইকরাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুফতি রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।
. . . . . . . . .