প্রতারক জিসাস নেতা ফারদিন গ্রেপ্তার

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ জানুয়ারি ২০১৬, ৩:২৪ অপরাহ্ণসরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে প্রতারণা করতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন সঙ্গীত শিল্পী, জিসাস নেতা ও আয়মান প্রোডাকশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাল ফারদিন (৩২)।
শুক্রবার রাত ৯টার দিকে সিরাজগঞ্জ শহরের মুজিব সড়ক এলাকা থেকে সদর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ঢাকার নিউ মার্কেট থানার হাজারীবাগ ১৩/২ এলাকার মৃত মনোয়ার হোসেনের ছেলে এবং জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সমন্বয়ক।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুল ইসলাম জানান, প্রতারক মাসুম বিল্লাল ফারদিন সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবুল বাশার, আবু রওশন, সদর থানার উপ-পরিদর্শক মানিকুল ইসলাম, বগুড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, ঢাকার বনানী এলাকার এ জে প্রোপার্টিসের মালিকসহ শতাধিক লোকজনের সঙ্গে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
প্রতারণার শিকার লোকজন লিখিত ও মৌখিকভাবে অভিযোগ করায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে ৪টি পরিচয়পত্র জব্দ করা হয়েছে। তাতে বাংলাদেশ মানবাধিকার উন্নয়ন সংগঠন, ঢাকার জিগাতলা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট, দৈনিক দেশকাল পত্রিকার স্টাফ রির্পোটার ও দৈনিক গণজাগরণ পত্রিকার কালচারাল রিপোর্টার হিসাবে পরিচয় উল্লেখ রয়েছে। সিরাজগঞ্জ শহরের মাছিমপুর কারিগড়পাড়ার মৃত খোরশেদ আলমের মেয়েকে বিয়ে করার কারণে ঢাকার পাশাপাশি সিরাজগঞ্জেও বসবাস করে থাকে।
ওসি আরও বলেন, ‘রাতে তাকে থানা হেফাজতে রেখে আগামীকাল ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে হাজির করা হবে। গ্রেপ্তারকৃত মাসুম বিল্লাল ফারদিন থানায় পুলিশের সামনে প্রতারণার কথা স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রতারণা করার কারণে ২০১১ সালে নওগাঁয় ৯ মাস হাজত খেটেছি। বিভিন্ন কাজ করে দেয়ার জন্য সরকারি-বেসরকারি লোকজনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলাম। কিন্তু কাজ না করে দিতে পারায় আমার নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠে।’
সংবাদপত্রের পরিচিতি প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি সাংবাদিকতা করি না। কিন্তু ৫ হাজার টাকা দিয়ে দৈনিক দেশকাল পত্রিকার কার্ড নিয়েছি। দৈনিক গণজাগরণ পত্রিকা বিনা টাকায় আমাকে কার্ড দিয়েছে। আয়মান প্রোডাকশনের ব্যানারে ভিডিও এবং অডিও গানের কয়েকটি অ্যালবাম বের করেছিলাম।’
. . . . . . . . .