মার্চে বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ জানুয়ারি ২০১৬, ১০:১১ পূর্বাহ্ণক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার দুই সপ্তাহের মাথায় বিএনপিও একই মাসে জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আগামী মার্চে দলের জাতীয় কাউন্সিল হবে বলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন। তবে মার্চের কোন তারিখে কোথায় কাউন্সিল হবে তা জানা যায়নি।
শনিবার রাতে খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দলের কাউন্সিল করার সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকের ফাঁকে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, “বৈঠকে আগামী মার্চ মাসের মধ্যে ঢাকায় জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হযেছে। তারিখ ও ভ্যেনু পরবর্তীতে জানানো হবে।”
বিএনপির সর্বশেষ পঞ্চম কাউন্সিল হয়েছিল ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর। তিন বছর পর পর কাউন্সিল অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও সাত বছরের মাথায় দলটির ষষ্ঠ কাউন্সিল হচ্ছে।
সর্বশেষ কাউন্সিলে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বে কোনো পরিবর্তন আসেনি, ১৯৮৩ সাল থেকে দলটির চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করছেন খালেদা জিয়া। ১৯৮১ সালে স্বামী জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর রাজনীতিতে আসেন তিনি।
ওই সম্মেলনে মহাসচিবের দায়িত্ব পান খন্দকার দেলাওয়ার হোসেন। ২০১১ সালে তার মৃত্যুর পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব করা হয়। এরপর থেকেই তিনি এই দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ এবং নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী, যথাসময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাউন্সিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ গত ৯ জানুয়ারি দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে আগামী ২৮ মার্চ জাতীয় কাউন্সিল করার সিদ্ধান্ত নেয়। দলটির সর্বশেষ কাউন্সিল হয়েছিল ২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির এই বৈঠক শুরু হয়। শুরুতে সদ্যপ্রয়াত স্থায়ী কমিটির সদস্য আর এ গনির জন্য শোক প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি রোববার আরাফাত রহমান কোকোর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
বৈঠকে জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, “ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর পরও বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম না কমানোতে বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। স্থায়ী কমিটি অবিলম্বে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর জোর দাবি জানাচ্ছে।”
একাত্তরের শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বক্তব্যের জন্য বিভিন্ন জেলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “একটি মামলার বিষয়ে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দেশনেত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে আমি নিজেরই এর ‘ক্লারিফিকেশন’ দিয়েছি।
“এরপরও তার বিরুদ্ধে মামলায় দায়েরের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ ও এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আমরা মনে করি। স্থায়ী কমিটির এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।”
বৈঠকে মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মাহবুবুর রহমান, তরিকুল ইসলাম, জমিরউদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
. . . . . . . . .