সন্দেহ থেকে মুক্তির চেষ্টা বিএনপি নেতাদের
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ জানুয়ারি ২০১৬, ১১:১৪ পূর্বাহ্ণসরকার ষড়যন্ত্র করে তাদের দল ভাঙার চেষ্টা করছে বলে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ। এ নিয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের জড়িয়ে মিথ্যাচারও করা হচ্ছে।
সম্প্রতি বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কারামুক্তি লাভ করেন। তার এ মুক্তি নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রচারণা রয়েছে তিনি সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করেছেন।
অপরদিকে দলটির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের সঙ্গে কথিত আসল বিএনপি নেতা কামরুল হাসান নাসিম যোগসাজশ করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় দখল করার চেষ্টা করছেন বলে এমন প্রচারণাও রয়েছে।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর রমনাস্থ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে বিএনপিপন্থি বুদ্ধিজীবী ও দলের সিনিয়র নেতারা বক্তব্য রাখেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং রুহুল কবির রিজভী তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কঠোর সমালোচনা করেন।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগকে ষড়যন্ত্র বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, ‘একটি পত্রিকায় এসেছে আমি স্থায়ী কমিটি থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত বিএনপিকে ভাঙার চেষ্টা করছি। আমি এটার সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছি।’
তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক ভাই আমাকে দক্ষ সমন্বয়ক বানিয়ে দিয়েছেন। ১১ বছর মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেও তিনি (মান্নান ভূঁইয়া) দল ভাঙতে পারেননি। সেটা কি আমি কি ভুলে গেছি?’
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘দুর্ভাগ্য বিএনপি এটা বিশ্বাস করেনি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে ২২ মাস কারাভোগ করেছি। সমঝোতা করে যদি বের হবো তাহলে ২২ মাস কারাভোগ করবো কেন? এসব কেউ বিশ্বাস করবে?’ এসময় দর্শক সারি থেকে নেতাকর্মীরা সমস্বরে জবাব দেয় না।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘পৃথিবীতে জাতীয়তাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়। নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত করতে এসব ছড়ানো হচ্ছে।’ ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে বিএনপি যায়নি বলেই ১৫৩ আসনে প্রার্থী পাওয়া যায়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে রিজভী আহমেদ বলেন, ‘কিছু অনলাইনে বলা হচ্ছে আমার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আসল বিএনপির নামে আমাদের কার্যালয় দখলের চেষ্টা হচ্ছে। তাহলে আমরা কি নকল বিএনপি?’
তিনি বলেন, ‘আমি বৃহৎ একটি ছাত্র সংগঠনের সভাপতি ছিলাম। বৃহৎ একটি রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে যুক্ত আছি। আমার যে ব্যাকগ্রাউন্ড তাতে রাস্তার টোকাইয়ের সঙ্গে যোগসাজশ এটা কেউ বিশ্বাস করবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘এটা কেউ বিশ্বাস করবে?’ তখন দর্শক সারি থেকে নেতাকর্মীরা জবাব দেয়- না।
রিজভী আহমেদ বলেন, ‘বলা হচ্ছে আমাকে ৩৩ লাখ টাকা দিতে হবে, না দিলে মামলা হবে। কিন্তু আমি মামলার ভয় পাই না।’
. . . . . . . . .