দুই নেতা নির্ভর ছাত্রলীগ !

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ জানুয়ারি ২০১৬, ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণডেস্ক নিউজ:সম্মেলনের পর দীর্ঘ দিন পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় ‘সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্ভর সংগঠনে’ পরিণত হয়েছে দেশের বৃহত্তম ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। কমিটিতে স্থান পেতে তাদেরকেই ভরসা মানছেন পদপ্রত্যাশীরা। বেশিরভাগ সময় তাই সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের মনোযোগ আকর্ষণেই ব্যস্ত সবাই।
গত বছর ২৫-২৬ জুলাই কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মেলন হয়। এরপর পেরিয়ে গেছে ৫ মাস ২০ দিন। ঘোষণা হয়নি পূর্ণাঙ্গ কমিটি। একই অবস্থা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণেও। গত বছর ১১ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার, ২৮ মে ঢাকা মহানগর উত্তরের এবং ৩০ মে দক্ষিণের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ ২ বছর এবং জেলা কমিটির মেয়াদ ১ বছর। সেই হিসেবে এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটি নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক চতুর্থাংশ সময় পার করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মহানগর শাখা কমিটি নির্ধারিত সময়ের অর্ধেকেরও বেশি সময় পার করেছে। কিন্তু কোনোটিরই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হয়নি এখনও। যদিও সংগঠনটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের দাবি কমিটি গঠনের কাজ চলছে পুরোদমে। খুব শিগগিরই কমিটি দেওয়া হবে। এ বিষয়ে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক এ প্রতিবেদককে বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কাজ পুরোদমে চলছে। এ কাজ প্রায় শেষের দিকে। আমরা এ মাসের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করব। বিলম্বের কারণ প্রসঙ্গে তিনি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে গত মাসে আমাদের ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। তবে আমরা আশা করছি মেধাবীদেরই ছাত্রলীগে স্থান দিতে পারব।
এদিকে দীর্ঘ দিন কমিটি না হওয়ায় পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা ও চাপা ক্ষোভ বাড়ছে। ছাত্রলীগের গত কমিটির কেন্দ্রীয় কমিটির এক সম্পাদক এ প্রতিবেদককে বলেন, দীর্ঘ দিন ফর্ম ধরে রাখা কঠিন। যারা সম্মেলনের আগে বা পরে ফর্মে ছিল তারা অনেকেই ধীরে ধীরে পেছনের দিকে চলে যাচ্ছে। নতুন অনেকেই সামনে আসছে। এতে ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হচ্ছে অনেক পরিশ্রমী কর্মীর মধ্যেই। পদপ্রত্যাশী এই নেতা বলেন, যত দিন যাবে এটা ততই বাড়তে থাকবে। এটা সংগঠনের জন্য ভালো হবে না।
জানা গেছে, সম্মেলনের পর থেকে কাক্সিক্ষত পদ পেতে অনেকেই দৈনিক গড়ে ১০-১২ ঘণ্টা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে থাকছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও ‘বন্দনা’ চলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ঘিরেই। সকাল থেকে রাত অবধি ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের গাড়ির পেছনে মোটরসাইকেল নিয়েও ঘুরছেন অনেকেই। তাদের গাড়িতে ওঠা বা নামার সময়ও চলে সালাম দেওয়ার প্রতিযোগিতা। . . . . . . . . .