বিএনপির জন্য দিনটি ছিল ঈদের!
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ জানুয়ারি ২০১৬, ৯:৪৯ অপরাহ্ণদশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বছরপূর্তিতে গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করতে গিয়ে ২০১৫’র জানুয়ারি থেকে টানা কয়েক মাস অবরোধের নামে ভয়াবহ দাঙ্গা-হাঙ্গামায় জড়িয়ে পড়েছিল দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি। এ সুযোগে সরকারও তার অবস্থানে অনড় থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে বিএনপিকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। হামলা-মামলা ও হুলিয়া দিয়ে রীতিমতো ধরাশায়ী করে ফেলে বিএনপিকে। এরপর গত এক বছর বিএনপি কোনোভাবে কোনো ইস্যুতে কোনো আন্দোলন দাঁড় করাতে পারেনি। এমনকি ছোট-বড় কোনো সমাবেশও করতে পারেনি তারা। উপরন্তু নানা মামলায় গ্রেপ্তার ও হাজিরা দিতে দিতে পুরো বছর কেটেছে বিএনপি তৃণমূল থেকে শীর্ষ অনেক নেতার।
সে অবরুদ্ধ ও ভঙ্গুর অবস্থা কাটিয়ে বিএনপি প্রায় এক বছর পর বড় ধরনের কোনো সমাবেশ করলো নয়াপল্টনে তার কার্যালয়ের সামনে। এবারের সমাবেশটিও ছিল যথারীতি ৫ জানুয়ারি সেই দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনটিতে। বিএনপি যেটাকে গণতন্ত্র হত্যা দিবস হিসেবে পালন করলো।
এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ঈদের আনন্দ বিরাজ করছিলো। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যানার ফ্যাস্টুন নিয়ে দলের নেতাকর্মীরা মিছিলে মিছিলে যোগদান করেছে এ সমাবেশে। টানা এক বছর পর মুক্ত সমাবেশে যোগদান করতে পেরে যেন দলীয় কর্মীদের খুশীর অন্ত ছিল না।
দেখা গেছে, মঙ্গলবার সকাল থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়কে ঘিরে সমবেত হয় দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী। দুপুর ২টার দিকে শুরু হয় সভার কার্যক্রম। মঞ্চে উপস্থিত নেতাদেরও বেশ ফুরফুরে মেজাজে দেখা গেছে।
কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাষণ শুরু হওয়ার পর নেতাকর্মীরা মুহূর্মুহু শ্লোগানে ভরিয়ে তোলো নয়াপল্টন এলাকা। স্লোগানের তোড়ে বক্তব্য রাখাই দায় হয়ে উঠেছিল। তখন বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত নেতাকর্মীদের স্লোগান ও উচ্ছ্বাস থামাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় কেন্দ্রীয় নেতাদের। সমাবেশে আগত নেতাকর্মীরা একে অপরকে সালাম, করমর্দন করেছেন উৎসবের আমেজে।
সমাবেশে অংশ নেয়া শুলশান থানা ছাত্রদলের সদস্য মোহাম্মাদ রিয়াজুল বলেন, ‘অনেকদিন পর দলের সকল নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। বড় কোনো সমাবেশ না হলে এমনটা হয়না। গণতন্ত্রর জন্যই আমরা এখানে হাজির হয়েছি। বলতে পারেন আজ দিনটি বিএনপির জন্য ‘ঈদের দিন’। এই সমাবেশ থেকে আমরা আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার দিক নির্দেশনা পাবো বলে আশা করছি।’
কামরাঙ্গীরচর থানা ছাত্রদলের সদস্য আয়নাল হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর আমরা সবাই এভাবে এক হতে পেরেছি। সরকার প্রায় ১ বছর আমাদেরকে এমন কোনো বড় সমাবেশ করতে দেয়নি। আইনশৃঙ্খলার অযুহাত দেখিয়ে তারা আমাদেরকে এক হতে বাধাগ্রস্থ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সকলে দলকে ভালোবাসি বলেই আজ এখানে এসেছি। যতদিন দল থাকবে ততদিন এখানে আসবো। ভাড়ায় নয় নিজেদের পকেটের টাকা থেকে ভাড়া দিয়েই আমরা আজ এখানে এসেছি।’
. . . . . . . . .