যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি ঠেকাতে জামায়াত-শিবির সন্ত্রাস চালাচ্ছে : সিলেটে অর্থমন্ত্রী

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ নভেম্বর ২০১৫, ৯:৫১ অপরাহ্ণঅর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এমপি বলেছেন, দেশে কুখ্যাত দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দ-াদেশ ঠেকাতে জামায়াত-শিবির বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কোনভাবেই কেউ এই রায় কার্যকর রুখতে পারবে না।
তিনি বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। এরআগে সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের টিকরপাড়া মাঠে অর্থমন্ত্রণালয় অধীনস্থ স্যোশাল ডেভেলপম্যান্ট ফাউন্ডেশন পরিচারিত ‘নতুন জীবন লাইভলিহোড ইম্প্রোভম্যান্ট প্রজেক্ট’ (এসজেএলআইপি) এর উদ্বোধনি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী।
বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, সত্তোর দশকে এদেশে ৮০ ভাগ মানুষ দরিদ্র ছিলো। বর্তমানে দেশে দারিদ্রতার হার ২২ ভাগে নেমে এসেছে। সরকারের চলতি মেয়াদে তা ১৮ ভাগে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, দারিদ্রতা কঠোর জন্তু। এটাকে বিদায়ে সবধরণের উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে সরকার। আমাদের রাষ্ট্রের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে দারিদ্র বিমোচন। এক্ষেত্রে আমরা সফল হতে পারলে মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে তার শ্রেষ্টত্বের মর্যাদা নিয়ে বাস করতে পারবে।
তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, জাতির জনকের কন্যা তিনি জনহীতে নিবেদিত প্রাণ। দেশ ও জনগণের কল্যাণ ছাড়া তার আর কোন লক্ষ্য নেই। প্রধানমন্ত্রীর স্বদিচ্ছার কারণেই দেশের দারিদ্রতা বিমোচনের পাশাপাশি সার্বিক উন্নয়ন সাধন করা সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশে দারিদ্রতা প্রসঙ্গে আবুল মাল আবদুল মুহিত এমপি বলেন, অসুর শক্তির বিরুদ্ধে একাত্তরে যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে। এই অসুর শক্তি এদেশটাকে ধ্বংস করে ক্ষমতা ছাড়ে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে নানা প্রতিকূলতা মাথায় নিয়ে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দারিদ্রতা নিয়ে নিজেকে বিকশিত করা যায় না। সুন্দর জীবন উপভোগ করতে হলে মানুষের শ্রেষ্টত্ব প্রমাণ করতে হলে জ্ঞান ও বুদ্ধিও বিকাশ ঘটাতে হবে।
দেশে দারিদ্রতা বিমোচনের জন্য এসডিএফ স্যোশাল ডেভেলমমেন্ট কার্যক্রমের প্রশংসা করে তিনি বলেন, দেশ থেকে দরিদ্রতা দূরীকরণের জন্য এসডিএফ এর কার্যক্রম একা নয়। একই সঙ্গে দেশে সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কাজ করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে ষাট হাজারেরও বেশি এনজিও আছে। তাদের মধ্যে ২৮ হাজার এনজিও’র কার্যক্রম বিকশিত ও লক্ষ্যণীয়। এরা সবাই শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, অবহেলিত জনগোষ্ঠির উন্নয়নে কাজ করছে। এর ফলে দেশে দ্রুতভাবে দারিদ্রতা হ্রাস হচ্ছে।
এসডিএফ এর চেয়ারম্যান সাবেক সচিব এমআই চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ এর অপারেশন এডভাইজার ক্রিস্টিন-ই কেইমস, ন্যাশনাল টি কোম্পানীর চেয়ারম্যান সাবেক সচিব অর্থনীতিবিদ ড. একেএ মুবিন।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডাইরেক্টর মার্টিন ড্রামা, ট্রাস্ট টীম লিডার সিনিথামবাই মনোহরণ, এসডিএফ-এর পরিচালক সৈয়দ এফতার হোসেন পিয়ার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসডিএফ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এজেডএম সাখাওয়াত হোসেন। সুবিধাভোগিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সেলিনা পারভীন ও হাসিনা আক্তার। ক্বারী মাওলানা সাইফুল ইসলাম।
এর আগে মন্ত্রী সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৭নং ওয়ার্ডে জালালাবাদ পশ্চিম পীরমহল্লা থেকে নূরানী বনকলাপাড়া রাস্তা প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। স্থানীয় আব্দুল গফুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় এলাকাবাসী আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সাবেক সিটি মেয়র নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, নগর সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুব্রত পুরকায়স্ত, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি সিলেট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা সিটি কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আলম খান মুক্তি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হান্নান, মহানগর যুবলীগ নেতা কয়েস উদ্দিন আহমদ, শামসুদ্দিন আহমদ শামস প্রমুখ।
পরে মন্ত্রী নগরীর সাপ্লাই থেকে আম্বরখানা সড়কের আরসিসি ড্রেন কালভার্ট নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। এসময় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
. . . . . . . . .