যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে গুপ্তহত্যা করা হচ্ছে
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ নভেম্বর ২০১৫, ৫:৫৫ অপরাহ্ণপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশকে অস্থিতিশীল করতে ও যুদ্ধপরাধীদের রক্ষা করতে লেখক-প্রকাশকদের গুপ্তহত্যা করা হচ্ছে। দেশে ব্যর্থ হয়ে খালেদা জিয়া এখন লন্ডনে বসে বিদেশি হত্যার নির্দেশ দিচ্ছেন।’
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার আন্দোলন মানুষ পুড়িয়ে মারা, মানুষ খুন করা। মানুষ হত্যাই তার আন্দোলন। বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার আন্দালন বন্ধ করেছে।
সোমবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘০৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস’ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলা সোয়া ৩টায় জনসভায় উপস্থিত হন।
বক্তৃতার শুরুতে জেলহত্যার ঘটনা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ১৫ আগস্ট এবং ৩ নভেম্বরের (জেলহত্যা) খুনিদের পুরস্কৃত করেছেন জিয়াউর রহমান।
তিনি বলেন, ৩ নভেম্বর অন্ধকার কারাগারে চার জাতীয় নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই হত্যার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে বিনষ্ট করা। বঙ্গবন্ধুর যারা সঙ্গী ছিলেন, যাদের জন্য স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি তাদেরই নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তখন খুনিদের বিচার করা হয়নি। বরং বিভিন্নভাবে তাদের রেহাই দেওয়া হয়েছিল। শুধু জেল হত্যা নয় তার আগে ১৫ আগস্টের খুনিদেরও রেহাই দেওয়া হয়। জিয়াউর রহমান তাদের বিভিন্ন দেশে দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন।
বিএনপির চেয়ারপারসনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিদেশে গিয়ে তিনি ষড়যন্ত্র করছেন। তিনি গুপ্তহত্যায় নেমেছেন। লেখক-প্রকাশক, এমনকি বিদেশিদের হত্যা করা হচ্ছে। যখনই হত্যায় জড়িতরা ধরা পড়ছে; দেখা যাচ্ছে তারা হয় শিবির, না হয় বিএনপি। দেশে না পেরে এখন বিদেশে বসে তিনি গুপ্তহত্যা শুরু করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, যখন এ দেশের সম্ভাবনা সামনের দিকে, তখনই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে বিএনপি ও তাদের সহযোগীরা।
এর আগে, রবিবার দুপুর ১টা থেকে নেতাকর্মীরা দলে দলে উদ্যানে উপস্থিত হতে শুরু করেন। বিকেল সাড়ে ৩টা নাগাদ তা প্রায় জনসমুদ্রে পরিণত হয়। কেন্দ্রীয় নেতারা প্রথমে বক্তৃতা দেন।
এদিকে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কেন্দ্রিক জনসভা হওয়ায় এর আশপাশের সকল রাস্তায় প্রচণ্ড যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।
জনসভায় সভাপতিত্ব করছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
. . . . . . . . .