এক মিলাদ মাহফিল ঘিরে বিএনপিতে অস্বস্তি, আলোচনায় জিয়ার ভাই
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ অক্টোবর ২০১৫, ২:১০ অপরাহ্ণবিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের একমাত্র জীবিত ভাই আহমেদ কামালের আয়োজনে জিয়াউর রহমানের পরিবারের প্রয়াত সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আগামী ৪ নভেম্বর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর এই মিলাদ মাহফিলকে কেন্দ্র করে হঠাৎ বিএনপিতে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে।
কিছুদিন আগে কামাল অসুস্থ অবস্থায় সংবাদ মাধ্যমে অভিযোগ করেছিলেন খালেদা জিয়া বা তারেক রহমান কেউ তাঁর কোন খোঁজ নেন নি। বিএনপি তাঁর ভাই জিয়াউর রহমানের আদর্শ থেকে সরে এসেছে বলেও অভিযোগ করে তিনি। হঠাৎ ঘটা করে তাঁর এই মিলাদ মাহফিলের আয়োজন স্বাভাবিকভাবে নিচ্ছেন না বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা।
সূত্র জানায়, মিলাদে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকেও কার্ড পাঠানো হবে। জিয়াউর রহমানের একমাত্র জীবিত ভাই আহমেদ কামাল এই মিলাদের আয়োজক হলেও মূল পৃষ্ঠপোষকতা করছেন খালেদা জিয়ার দূরসম্পর্কের এক ভাগনে শরীফুল আলম (এস আলম ডন)।
তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান মিলাদের দাওয়াত পাননি বলে জানান। তিনি বলেন, ‘কথা নেই, বার্তা নেই, এত দিন পর মিলাদের দরকার হলো কেন? তাও আবার হল ভাড়া করে। সরকার তো অনেক কিছুই করার চেষ্টা করছে। এর পেছনে কারা আছে, নেতা-কর্মীদের সন্দেহ তো হতেই পারে।’
আহমেদ কামাল জানিয়েছেন জিয়া পরিবারের আত্মীয়স্বজনসহ বিএনপির অন্তত চার পাঁচশো নেতা এই মিলাদ মাহফিলে আসবেন। আপাত অর্থে ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলেও সমশের মবিনের পদত্যাগ, খালেদা জিয়ার দেশে না থাকা, সিনিয়র নেতাদের সাথে তারেক রহমানের দূরত্ব এবং সরকারের নানা চাপ মিলিয়ে এই মিলাদ মাহফিল নতুন কোন মেরুকরণের জন্ম দিতে পারে বলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বিএনপি নেতা জানিয়েছেন।
জিয়াউর রহমানের পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে আহমেদ কামাল সবার ছোট এবং একমাত্র জীবিত সদস্য। সবার বড় রেজাউর রহমান, এরপর জিয়াউর রহমান, মিজানুর রহমান ও খলিলুর রহমান। চারজনই মারা গেছেন। তার আগে মারা গেছেন বাবা মনসুর রহমান ও মা জাহানারা খাতুন। মেজো ভাইয়ের ছেলে আরাফাত রহমান কোকোও সম্প্রতি মারা গেছেন।
তিনি নিজেও অসুস্থ ছিলেন আর এসব কারণেই সবার জন্য মিলাদ আয়োজন করছেন বলে জানান শরিফুল আলম। যদিও খালেদা-তারেকের সাথে কামালের দূরত্ব নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আলোচনা হয়েছে ।
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মহাব্যবস্থাপক হিসেবে অবসরে যাওয়া আহমেদ কামাল অবিবাহিত। জিয়া পরিবারের সদস্য হওয়ায় তাকে নিয়ে রাজনৈতিক মেরুকরন হতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন। তিনি নিজেও তাঁর রাজনীতিতে আসার সম্ভবনা উড়িয়ে দেননি। এ সম্পর্কে বলেন- ‘শরীর ঠিক থাকলে ভবিষ্যতে দেখা যাবে।’
. . . . . . . . .