পদত্যাগ করা কি শুরু হল নাকি ?
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ অক্টোবর ২০১৫, ১১:০৫ অপরাহ্ণবিএনপির নেতা শমসের মবিন চৌধুরীর পদত্যাগের ব্যাপারে নাসিম বলেন, এটা তো বিএনপির অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। তাদের দলের কে ইন করল আউট হল এটা তো আমি বলতে পারব না। পদত্যাগ করা কি শুরু হল নাকি?
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) জাতীয় সংসদ কার্যক্রম নিয়ে দেওয়া প্রতিবেদনের সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। ক্ষমা না চাইলে সংস্থাটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, এরা কারা? এদের পরিচয় কি? এই টিআইবির মুখপাত্ররা কি চায়? তারা কি চেয়েছিল? তারা চেয়েছিল ৫ জানুয়ারির নির্বাচন না হোক। আর নির্বাচন না হলে দেশে একটি অসাংবিধানিক সরকার আসবে। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি বলেই কি আজকে তাদের এত ক্ষোভ?
নাসিম বলেন, তারা শুধু পার্লামেন্টকে আক্রমণ করে নাই। যে ভাষা ব্যবহার করেছে সে জন্য টিআইবিকে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। ক্ষমা না চাইলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে ১৪ দল।
রাজধানীর ধানমণ্ডি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের এক বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার তিনি এ সব কথা বলেন।
জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা সফলের লক্ষ্যে এ যৌথসভার আয়োজন করা হয়।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, কিভাবে তারা বলতে পারে এই পার্লামেন্ট একটি নাট্যশালা? তারা কিভাবে বলতে পারে এই পার্লামেন্ট পুতুল নাচের আসর? একটি রাজনৈতিক দলও সে ভাষায় কথা বলতে পারে না। কিন্তু টিআইবি সে ভাষায় কথা বলেছে। এটা শুধু অমার্জনীয় নয়। তারা বিএনপি জামায়াতের চেয়েও জঘন্য ভাষায় সংসদকে আক্রমণ করে কথা বলেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিআইবির তথাকথিত মুখপাত্ররা জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অপমান করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আহ্বান জানাব টিআইবির অর্থের উৎস ও পৃষ্ঠপোষকদের খুঁজে বের করুন। এরা নির্বাচন চেয়েছে। ওদের নির্বাচন চাওয়ার অধিকার কে দিয়েছে? ওদের কাজ গবেষণা করা। ওরা ওদের এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে এ সব কথা বলেছে।
এ সময় অদূর ভবিষ্যতে টিআইবির মুখোশ উন্মোচন করা হবে বলে মন্তব্য করেন নাসিম।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, একজন নেত্রী বিদেশে আছেন। কিন্তু তিনি বিদেশে গেলেন আর একের পর এক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, চিহ্নিত করা হয়েছে তারা একটি দলের মুখচেনা লোক। ৫ জানুয়ারির আগে ও পরে দেশের মানুষকে হত্যা করে খালেদা জিয়া ব্যর্থ হয়েছেন এই সরকারকে উৎখাত করতে। এখন তিনি বা তার দল ও জামায়াত চক্র বিদেশী হত্যা করে কোনো চক্রান্ত সফল করতে চায় কি না- এই প্রশ্নও সামনে এসে গেছে।
আইনশৃংখলা বাহিনীকে এ ব্যাপারে দ্রুত তদন্ত করার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশবাসীর সঙ্গে আমরাও আশা করছি খুব দ্রুত গডফাদারের নাম আসবে।
. . . . . . . . .