রেড ক্রিসেন্ট কার্যালয়ে প্রবাসীকে আটকে রেখে যুবলীগ নেতাদের দুই লাখ টাকা দাবি!
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ অক্টোবর ২০১৫, ৯:৫৬ অপরাহ্ণসিলেট রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির কার্যালয়ে এক প্রবাসীকে তালাবদ্ধ করে রেখে ‘মুক্তিপণ’ দাবির অভিযোগ ওঠেছে দুই যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরে বালাগঞ্জের প্রবাসী লুৎফুর রহমান (৪৫) কে ধরে এনে রেড ক্রিসেন্ট কার্যালয়ে আটকে রাখেন যুবলীগ নেতা শাহিন আহমদ ও আমির হোসেন। এরপর তার কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করেন।
প্রবাসীরা স্বজনরা এ খবর পেয়ে সন্ধ্যায় পুলিশ নিয়ে রেড ক্রিসেন্ট কার্যালয় থেকে লুৎফুর রহমানকে উদ্ধার করে আনেন। এসময় সিলেট রেড ক্রিসেন্ট অফিস থেকে দু’জন কর্মচারীকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
তবে যুবলীগ নেতা শাহিন আহমদ ও আমির হোসেন জানিয়েছেন, প্রবাসী লুৎফুর রহমানের কাছে তাদের টাকা পাওনা রয়েছে। কয়েকবার তারিখ দিয়ে তিনি টাকা প্রদান করেন নি। তাই আজকে লুৎফুর রহমানের কাছে পাওনা টাকা ফেরত দিতে বলেছিলেন।
প্রবাসী লুৎফুর রহমান অভিযোগ করেন, শাহিন ও আমির মঙ্গলবার দুপুরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাকে বালাগঞ্জ থেকে ডেকে আনেন। তিনি ক্বীনব্রিজ এলাকায় পৌঁছামাত্র তাকে জােরপূর্বক গাড়িতে করে চৌহাট্টাস্থ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির অফিসে তুলে আনেন শাহিন ও আমির। এরপর তাকে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সিলেট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে তালাবদ্ধ করে রেখে দুই লাখ টাকা দাবি করেন দুই যুবলীগ নেতা।
পরে লুৎফুর বিষয়টি তার স্বজনদের জানালে তারা পুলিশ নিয়ে এসে লুৎফুরকে উদ্ধার করেন।
এ ব্যাপারে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সিলেট জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল বলেন, আমি আজ অফিসে ছিলাম না। শুনেছি শাহীন ও আমির একজনকে নিয়ে এসে আমার অফিসে রেখে গেছে। আমি মোবাইল ফোনে লুৎফুর রহমানের সাথে কথা বলে তাকে পুলিশের শরনাপন্ন হতে বলেছি।
তিনি বলেন, আমির ও শাহিন কয়েকদিন আগে আমার কাছে লুৎফুর রহমান তাদের পাওনা টাকা দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছিলো। আমি তাদেরকেও পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে বলি।
শাহীন আহমদ ও আমির হোসেন যুবলীগের কর্মী বলে জানান সাবেক জেলা যুবলীগ সভাপতি আব্দুর রহমান জামিল। তিনি বলেন, দু’পক্ষই শুনেছি থানায় গিয়েছেন।
রাত সাড়ে ন’টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কতােয়ালি থানায় দু’পক্ষের উপস্থিতিতে সমঝোতার চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে।
তবে সিলেট কতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুহেল আহমদ এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানান।
. . . . . . . . .