দেশজুড়ে ধরপাকড়
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ অক্টোবর ২০১৫, ১১:৩৪ অপরাহ্ণহঠাৎ করেই সারা দেশে ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত থেকে শুরু হয়েছে অনানুষ্ঠানিক এ গ্রেপ্তার অভিযান। এ অভিযানে গতকাল বিকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলায় বিএনপি-জামায়াতের অন্তত শতাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন-ঢাকা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাভারের সাবেক এমপি ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু, সাভারের পৌর মেয়র ও পৌর বিএনপির সভাপতি রেফাতউল্লাহ, রাজশাহী জেলা জামায়াতের আমীর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আবুল হাশেম এবং গাইবান্ধা জেলা জামায়াতের আমীর ডা. মো. আবদুর রহিম। এ সময় বহু নেতাকর্মীর বাসা-বাড়িতে চালানো হয়েছে তল্লাশি অভিযান। এছাড়া বিভিন্ন জেলায় নানা মামলায় জামিন চেয়ে আত্মসমর্পণ করা একাধিক নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। হঠাৎ করেই এ ধরনের ধরপাকড়ের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। সাংগঠনিক পুনর্গঠনকে বাধাগ্রস্ত করতেই বিরোধী নেতাকর্মীদের ধরপাকড় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০দলীয় জোটের শরিক দল জামায়াত তাদের প্রতিবাদলিপিতে বলেছে, সরকারবিরোধী দলকে দমন করে একদলীয় শাসন কায়েমের লক্ষ্যে সারা দেশে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদেরকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করছে। আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী জোটের নেতাকর্মীদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই এমন গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হচ্ছে বলে বিরোধী জোটের নেতারা অভিযোগ করেছেন।
সাভারে গ্রেপ্তারকৃত বাবু ও রেফাত ১০ দিনের রিমান্ডে
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে জানান, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সাবেক এমপি ডা. দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন বাবু ও সাভার পৌর বিএনপির সভাপতি এবং পৌর মেয়র রেফাতউল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে ঢাকার সাভারে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গুলিসহ জামায়াত-শিবিরের ৫ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী রাজধানীর পরীবাগ এলাকার নিজ বাসা থেকে শনিবার গভীর রাতে সালাউদ্দিন বাবুকে ও রোববার সকালে সাভারের উলাইল এলাকার বাসায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় রেফাতউল্লাহকে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি ও অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মামলা দুটির তদন্ত কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হোসেন ও এসআই মিজানুর রহমান বলেন, দুটি মামলায় ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড চেয়ে গ্রেপ্তারকৃতদের দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। দুটি মামলায়ই সাবেক এমপি ও পৌর মেয়রকে আসামি করা হয়েছে। এদিকে আদালতে হাজির করে নাশকতার দুই মামলায় ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত দুইজনকে ১০ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিকে গতকাল দুপুরে সাভার মডেল থানায় ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল আজিম সাংবাদিকদের জানান, সাভারের শাহীবাগ এলাকায় শনিবার রাতে মোখলেছুর রহমানের বাড়ির পঞ্চমতলায় অভিযান চালিয়ে জামায়াত-শিবিরের ৫ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ছাত্রশিবিরের রাজশাহী শাখার প্রচার সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, সাভার ৮ নং ওয়ার্ড ছাত্রশিবিরের সম্পাদক হাফেজ মো. জাহাঙ্গীর আলম, জামায়াত কর্মী শহিদুল ইসলাম, সমর্থক মঞ্জুরুল ইসলাম ও ৮ নং ওয়ার্ড ছাত্রশিবির কর্মী ইসমাইল হোসেন। পরে তাদের কক্ষ তল্লাশি করে অস্ত্র, গুলি, হাতবোমা ও জেহাদি বই উদ্ধার করা হয়। রাতে থানা হেফাজতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসে। গ্রেপ্তারকৃতদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে নাশকতার পরিকল্পনার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় রোববার ভোরে রাজধানীর পরিবাগের নিজ ফ্ল্যাট থেকে বিএনপির সাবেক এমপি ও সকালে সাভার পৌর এলাকার কর্ণপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে পৌরসভার মেয়রকে গ্রেপ্তার করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, পৌর মেয়র রেফাত উল্লাহ ও সাবেক এমপি সালাউদ্দিন বাবুর নেতৃত্বে ঢাকা ও পার্শ্ববর্র্তী এলাকায় নাশকতা চালাতে তারা পরিকল্পনা করছিলো বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। এর আগে গতকাল সকালে ঢাকা জেলার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) রাসেল শেখ বলেছিলেন, বিএনপির হরতাল- অবরোধের সময় সাভার-আশুলিয়ায় বিভিন্ন যানবাহনে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টাসহ নাশকতার একাধিক মামলায় ডা. সালাউদ্দিন বাবু ও রেফাত উল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৪শে এপ্রিল রানা প্লাজা ধসের মামলায় রেফাত উল্লাহকে পৌর মেয়র থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। বুধবার তিনি উচ্চ আদালত থেকে রায় নিয়ে পুনরায় মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমীর গ্রেপ্তার
স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে জানান, রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমীর প্রফেসর ড. আবুল হাশেমকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি পুলিশ) পুলিশ। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিনোদপুর নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আবুল হাশেম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর। রাজশাহী নগর পুলিশের মুখপাত্র ও গোয়েন্দা শাখার সহকারী কমিশনার সুশান্ত চন্দ্র রায় জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মহানগর জামায়াতের আমীর আবুল হাশেমকে তার বিনোদপুরের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে রাতে তাকে গোয়েন্দা হেফাজতে রাখা হয়। জামায়াতের এই নেতা পুলিশ কনস্টেবল সিদ্ধার্থ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। এছাড়া, তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে রোববার দুপুরের পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বগুড়ায় জামায়াত-বিএনপির ৩৬ নেতাকর্মী আটক
স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া থেকে জানান, ঢাকায় এএসআই ইব্রাহিম মোল্লা হত্যার পর বগুড়ায় তিনদিনে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে এ পর্যন্ত ৩৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে জামায়াত, শিবির ও বিএনপি নেতাকর্মী রয়েছে। জানা যায়, গত শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার নাজির হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল বগুড়ায় আসে। তারা বগুড়ায় এসে শহরের পুরান বগুড়া এলাকার একটি ছাত্রাবাস থেকে ২১ জনকে এবং পরে আদমদীঘি থেকে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা ডা. ইউনুছ আলীসহ বিএনপি-জামায়াতের ৪ নেতাকর্মীকে আটক করে এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকায় নিয়ে যায়। শনিবার রাতে পুলিশ শাজাহানপুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি হাসান আলীসহ ৬ জনকে আটক করে। একই রাতে আদমদীঘি উপজেলা থেকে আরও ৪ জামায়াত-শিবির কর্মীকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো- আবু সাঈদ, আব্দুর রাজ্জাক, মোখলেছুর রহমান এবং মুকুল মুন্সিকে। এসময় এএসআই ইব্রাহিম মোল্লা হত্যা মামলার আসামি শিবির নেতা এনামুল হকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশকিছু জিহাদি বই ও সিডি উদ্ধার করে পুলিশ।
গাইবান্ধা জেলা জামায়াতের আমীর ও বান্দরবানে ৩৯ জন গ্রেপ্তার
বাংলারজমিন ডেস্ক: গাইবান্ধা জেলা জামায়াতের আমীর ডা. মো. আবদুর রহিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল ভোরে গাইবান্ধা সদরে নিজ মালিকানাধীন রাবেয়া ক্লিনিকের উপর তলার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওদিকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌর শাখার শিবির সভাপতি মো. পরাণ সহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উপজেলার দক্ষিণ কেরোয়া এলাকা থেকে গতকাল ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তবে সবচেয়ে বড় গ্রেপ্তারের ঘটনাটি ঘটে বান্দরবানে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোপন বৈঠক থেকে শিবিরের ৩৯ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের ইসলামিক পাঠাগার থেকে তাদের আটক করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ ও লক্ষ্মীপুরে বিএনপি ও অঙ্গ দলের ২৩ নেতা কারাগারে
স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, নারায়ণগঞ্জে চারটি নাশকতার মামলায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ৯ নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রোববার দুপুরে ওই ৯ নেতা নারায়ণগঞ্জ বিশেষ ট্র্যাইব্যুনাল-১ এর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তারা হলেন- নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক নুরুল হক চৌধুরী দিপু, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক ও সিটি করপোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা ও রানা মুজিব, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, যুগ্ম আহ্বায়ক রাশিদুর রহমান রুশো, যুবদল নেতা মাহাবুব হাসান জুলহাস, ছাত্রদল নেতা রাফিউদ্দিন আহমেদ।
ওদিকে লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি জানান, ৫ই জানুয়ারি নাশকতার মামলায় লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ১৫ নেতাকর্মী গতকাল রোববার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে আদালত ১৪ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন। অপর আসামি আমির হোসেনকে জামিন মঞ্জুর করেন। আসামিরা হলেন- বিএনপি নেতা আবু তাহের স্বপন, নাজমুল ইসলাম নাজু, রায়পুর পৌরসভা যুবদলের সভাপতি ইকবাল হোসেন, পৌর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হোসেন, ২ নং চরবংশী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আমির হোসেন, ৭ নং বামনী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মহসিন কাজী, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ঢালী, ৪ নং সোনাপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাইম হোসেন ও কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সামছু উদ্দিনসহ ১৪ জন।
সাংগঠনিক পুনর্গঠন বাধাগ্রস্ত করতে গ্রেপ্তার: বিএনপি
এদিকে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি ডা. দেওয়ান সালাহউদ্দিন এবং সাভার পৌর মেয়র ও পৌর বিএনপির সভাপতি রেফাত উল্লাহকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। গতকাল এক বিবৃতিতে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে এবং জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য বিএনপি’র নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে সাজানো মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের আইনি প্রতিকার পাওয়ার অধিকারটুকুও খর্ব করছে বর্তমান সরকার। জনবিচ্ছিন্ন শাসকগোষ্ঠীর হিংসাশ্রয়ী রাজনীতি ও বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদেরকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত না হওয়ার জন্য ভীতি সৃষ্টিই এর একমাত্র লক্ষ্য। মির্জা আলমগীর বলেন, একদলীয় শাসনকে পাকাপোক্ত করার জন্য নানামুখী অপকৌশল এঁটে যাচ্ছে সরকার। আর সেই অপকৌশলের অংশ হিসেবে সারা দেশে বিএনপি’র পুনর্গঠন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার হীনউদ্দেশ্যে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি ডা. দেওয়ান সালাহউদ্দিন এবং সাভার পৌর মেয়র ও পৌর বিএনপির সভাপতি রেফাত উল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অবিলম্বে ডা. দেওয়ান সালাহউদ্দিন ও রেফাত উল্লাহর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান।
নারায়ণগঞ্জে ১১ নেতাকে কারাগারে পাঠানোয় ছাত্রদলের নিন্দা: এদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আহমেদ, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজলসহ অঙ্গ সংগঠনের ১১ নেতাকে কারাগারে পাঠানোর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। গণমাধ্যমে পাঠানো যৌথ এক বিবৃতিতে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। বিবৃতিতে তারা বলেন, দেশে চলমান অপশাসন আর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে এই অবৈধ সরকার। তারা উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে নিজেদের অপকর্মকে আড়াল করতে চাচ্ছে। এ জন্যই সারা দেশে আবারও ছাত্রদল নেতাকর্মীসহ বিএনপির নেতৃবৃন্দকে গণহারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, রোববার নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক নুরুল হক চৌধুরী দীপু, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাকসুদুল আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা ও রানা মুজিব, মাহবুব হাসান জুলহাস, মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, যুগ্ম আহ্বায়ক রশিদুর রহমান রুশো, সদর থানা ছাত্রদল সভাপতি রাফি উদ্দিন রিয়াদসহ ১১ জনের জামিন বাতিল করে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
. . . . . . . . .