কে এই যুবতী, যাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হলো?
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ অক্টোবর ২০১৫, ৩:০৭ অপরাহ্ণকে এই যুবতী, যাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হলো? উপড়ে ফেলা হলো একটি চোখ। কপাল, গাল ও গলায় আঘাতের চিহ্ন। অজ্ঞাত পরিচয় ২৭ বছর বয়সী অর্ধ গলিত ও একটি চোখ বের হয়ে আসায় চেহারা দেখে শনাক্ত করাও মুশকিল। হতভাগ্য এই নারীর পরিবার বা সন্তানাদি হয়তো জানে না তাদের স্বজনের করুণ এই পরিণতি। রাজনগর থানার পুলিশ উপজেলার সুনামপুরের একটি ডোবা থেকে এ যুবতীর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। লাশের হাতের ছাপ ও ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে যদি পরিচয় পাওয়া যায় সেজন্য এই আলামতগুলোও রাখছে।
গতকাল লাশের ময়নাতদন্ত শেষে দাফনের জন্য মৌলভীবাজার পৌরসভাকে সমঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের সুনামপুর গ্রামে খেয়াঘাট-বাঁধবাজার সড়কের পাশের একটি ডোবায় স্থানীয় লোকজন শরীরের উপরাংশ পানিতে ডুবন্ত অবস্থায় বোরকা পরা এক যুবতীর লাশ দেখতে পান।
বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও রাজনগর থানার পুলিশকে জানান তারা। খবর পেয়ে রাজনগর থানার এসআই আলাউদ্দীন, এএসআই রাজিব হোসেন বুধবার বিকাল ৪টার সময় ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন। অর্ধগলিত এ লাশের মুখে, কপালে ও গলায় রয়েছে কাটা, ছেঁড়া দাগ। একটি চোখ প্রায় উপড়ানো।
লাশ উদ্ধারকারী রাজনগর থানার উপপরিদর্শক আলাউদ্দীন জানান, লাশটি অর্ধগলিত। মুখমণ্ডলে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। চেহারা দেখে পরিচয় শনাক্ত করা মুশকিল। নারীর লাশ উদ্ধারের খবরে নেত্রকানো, হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন থানা থেকে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
তাদের বর্ণনা এ লাশের সঙ্গে মিলছে না। পুলিশ হাতের আঙুলের ছাপ রেখেছে। ময়নাতদন্তের সময় লাশের ডিএনএ রাখার জন্য বলা হয়েছে। যাতে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে লাশের পরিচয় পাওয়া যায়। পুলিশ ধারণা করছে হতভাগ্য এ যুবতীকে অন্য কোথাও হত্যা করে এখানে ফেলে রাখা হয়েছে। এদিকে কেউ কেউ ধারণা করছেন হয়তো ধর্ষণ শেষে ওই যুবতীকে হত্যা করে রাতের আঁধারে কেউ লাশ ফেলে রেখে গেছে।
রাজনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দান বলেন, এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের নামে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তের জন্য আঙুলের চাপ রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের সময় ডিএনএ নমুনা রাখা হবে।
. . . . . . . . .